বিপিএলের অব্যবস্থাপনা নিয়ে বিসিবিকে ক্রীড়া পরিষদের চিঠি

১ সপ্তাহে আগে
বিসিবির নতুন ম্যানেজমেন্ট আসার পর এবারের বিপিএল নিয়ে অনেক প্রত্যাশার কথাই শোনা গিয়েছিল। তবে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী দিন থেকেই টিকিট নিয়ে অব্যবস্থাপনা লক্ষ্য করা গেছে। টিকিট না পেয়ে ক্ষোভে বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামের পাশে অবস্থিত সুইমিংপুল কমপ্লেক্সে ভাংচুর চালিয়েছেন ক্ষুব্ধ সমর্থকরা।

শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামের কোল ঘেঁষে অবস্থিত সুইমিংপুল কমপ্লেক্স। সাঁতার ফেডারেশনও অবস্থিত সেখানে। গতকাল বিপিএলের টিকিট না পেয়ে এই ফেডারেশনের কয়েকটি কক্ষের কাচ ও গ্রিল ভেঙে ফেলেছে ক্ষুব্ধ সমর্থকরা। এই ঘটনার পর আর চুপ থাকতে পারেনি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)।

 

বিপিএলকে কেন্দ্র করে ঘটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে একটি সাধারণ ডায়েরি দায়ের করেছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। এছাড়া বিসিবির কাছেও একটি নির্দেশনামূলক চিঠি দিয়েছে সংস্থাটি। এনএসসি’র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠিতে টিকিট সংক্রান্ত বিষয়ে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনা বর্ণনার পাশাপাশি বিপিএল আয়োজনকে আরও গতিশীল ও অধিকতর স্বচ্ছ করার জন্য বিসিবিকে অনুরোধ করা হয়েছে। বিসিবি সভাপতি বরাবর প্রেরিত এই চিঠির অনুলিপি দেওয়া হয়েছে বিসিবির সকল পরিচালককেও।  

 

গত দেড় যুগ ধরে বিসিবির ওপর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কোনো নিয়ন্ত্রণ না থাকলেও নতুন ম্যানেজমেন্ট আসার পর সংস্থাটিকে জবাবদিহির আওতায় রেখেছে এনএসসি। এছাড়া অন্য সকল ফেডারেশনের মতো বিসিবিও তাদের আওতাভুক্ত। সেদিক থেকে এনএসসির বিসিবিকে বার্তা পাঠানো তেমন অস্বাভাবিক কোনো ঘটনা নয়।  

 

আরও পড়ুন: বিপিএলের পয়েন্ট টেবিলে রংপুরের রাজত্ব, তলানিতে ঢাকা-চিটাগাং

 

তবে সম্প্রতি বিসিবি প্রধানের সঙ্গে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রেস সচিব মাহফুজ আলমের বাদানুবাদের একটি খবর গণমাধ্যমে এসেছে। বিপিএলের অব্যবস্থাপনা নিয়েই সেই বাদানুবাদ হয়েছে বলেও জানা গেছে।

 

এ প্রসঙ্গে এবার ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব বলেছেন, ‘বিপিএলের সঙ্গে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ও যুক্ত হয়ে কাজ করছে সুন্দর একটি তারুণ্যের উৎসব উপহার দেওয়ার জন্য। আমরা ক্রীড়া মন্ত্রণালয় চাই বিপিএল সুন্দর ও সকলের অংশগ্রহণের হোক। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে তিনি (মাহফুজ আলম) পর্যবেক্ষণ দিয়েছিলেন।’  
 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন