যে ১৮ নারী ফুটবলার বিদ্রোহ করেছিলেন, তাদের মধ্যে ১০ জন ফুটবলার বর্তমানে ভুটানে আছেন। আর ঢাকায় বাফুফের ক্যাম্পে আছেন বাকি ৮ জন। বাফুফে সূত্রে জানা গেছে, সবার সঙ্গেই চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। বাফুফে নারী ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, ‘১৮ ফুটবলার চুক্তি করেছেন। ১০ জন ভুটানে গেছেন লিগ খেলতে। তারা ওখানে বসে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করে পাঠিয়েছেন।’
বর্তমানে ভুটানে অবস্থানরত সাবিনা খাতুন, সানজিদা আক্তার, মারিয়া মান্ডা, ঋতুপর্ণা চাকমা, মনিকা চাকমা, মাসুরা পারভিন, কৃষ্ণা রানী সরকার, রুপনা চাকমা, মাতসুশিমা সুমাইয়া ও শামসুন্নাহার (সিনিয়র) অনলাইনের মাধ্যমে চুক্তির আনুষ্ঠানিকতা সেরেছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের হয়ে খেলার অনুমতি পেলেন সামিত সোম
কিরণ সংবাদধ্যমমে বলেছেন, ‘এর আগে ৩৫ জন খেলোয়াড়ের চুক্তি হয়েছিল। বাকি ১৮ জনের সঙ্গেও চুক্তি হয়েছে। সব মিলিয়ে আমাদের চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড়ের সংখ্যা বর্তমানে ৫৩ জন। তবে তাদের বেতনের বিষয়টি নিয়ে এখনই কিছু জানাচ্ছি না। পরে বিস্তারিত জানাবো।’
ফেডারেশন সূত্রে জানা গেছে, বেতন বাড়ানো হয়েছে বেশ কয়েকজন ফুটবলারের। একেক জনের বেতন ৫ হাজার টাকা করে বেড়েছে। এদিকে ভুটানে খেলা শেষ করে কবে আসবেন ফুটবলাররা, তা বাফুফে জানে না। আগামী ১০ মে শুরু হবে ভুটানের লিগ।
আরও পড়ুন: কানাডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের সপ্তাহসেরা একাদশে বাংলাদেশের সামিত
গত অক্টোবরে নেপালে উইমেন’স সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জেতে বাংলাদেশ। এরপর গত ৩০ জানুয়ারি ব্রিটিশ কোচ পিটার বাটলারের অধীনে না খেলার ঘোষণা দিয়েছিলেন ১৮ নারী ফুটবলার।
আগামী ৩১ মে ও ৩ জুন ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশের মেয়েরা। এই ম্যাচ দুটি উপলক্ষ্যে ভুটানে থাকা মনিকা চাকমা, মারিয়া মান্ডা, রুপনা চাকমা, শামসুন্নাহার (সিনিয়র) ও ঋতুপর্ণা চাকমাকে ডেকেছেন কোচ পিটার বাটলার। দেশের বাইরে থাকায় তারা এখনও অনুশীলনে যোগ দেননি, কবে নাগাদ যোগ দেবেন তা এখনও জানা যায়নি।
]]>