রয়টার্সের এক প্রতিবেদন মতে, বাসাবাড়িতে প্রতি কিলোওয়াটে ৭ দশমিক ৪১ এক রুপি কমে ৩৪ দশমিক ৪৭ রুপিতে দাঁড়াবে। আর অফিস-আদালতে ৭ দশমিক ৫৯ রুপি কমে ৪০ দশমিক ৬০ রুপি হবে। বিদ্যুতের দাম কমানোর বিষয়টি পাকিস্তানের অর্থনীতির স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
২০২২ সালে ভয়াবহ মন্দার কবলে পড়ে ইসলামাবাদ। এক পর্যায়ে দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তলানিতে গিয়ে ঠেকে। পাকিস্তানের অর্থনীতিকে রক্ষায় ২০২৩ সালে এগিয়ে আসে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল- আইএমএফ।
গত বছর ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিতে সম্মত হয় সংস্থাটি। আইএমএফের ঋণ পেতে হলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানিসহ অন্যান্য পণ্যের ভর্তুকি বন্ধ করে দিতে হয়।
আরও পড়ুন: করোনায় আক্রান্ত পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জারদারি, হাসপাতালে ভর্তি
গত তিন বছর পাকিস্তানে বিদ্যুতের দাম কয়েক দফা শুধু বৃদ্ধি করা হয়। কিন্তু এবার দাম কমতে যাচ্ছে। যা গ্রাহকদের কিছুটা হলেও স্বস্তি এনে দেবে।
প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ জানান, এমন শর্ত থাকা সাপেক্ষেও বিদ্যুতের দাম কমাতে আইএমএফকে রাজি করাতে সমর্থ হয়েছেন তারা। যদিও এজন্য কষ্ট করতে হয়েছে।
পাক প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের দাম কমায় পাকিস্তানের বেশ অর্থ সাশ্রয় হয়েছে। সেগুলো বিদ্যুৎ খাতে দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ঈদের নামাজও পড়তে পারলেন না ইমরান খান, কারণ কী?
শেহবাজ বলেন, ‘দাম কমাতে কী কষ্ট করতে হয়েছে আমি তা প্রকাশ করতে পারব না। বিদ্যুৎ খাতে সরকারের চালানো সংস্কার সফল হওয়ায় এটি সম্ভব হয়েছে। সংস্কার চলতে থাকবে।’
]]>