বুধবার (১৮ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ (এফইপিডি) এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে।
এতে বলা হয়েছে, এখন থেকে সরকারি প্রকল্পে কনসালটেন্সি (পরামর্শ), ব্যবস্থাপনা বা অন্যান্য চলতি সেবার জন্য নির্ধারিত ফি আগাম অনুমোদন ছাড়াই বৈধভাবে বিদেশে পাঠানো যাবে। এতদিন এসব লেনদেনের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্বানুমোদন নেয়া বাধ্যতামূলক ছিল।
আরও পড়ুন: বিদেশি এজেন্টের মাধ্যমে দেশীয় পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচারে বিল পরিশোধে সুখবর
তবে এ সুবিধা নিতে কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। যেমন- প্রকল্পটি সরকারের অনুমোদিত হতে হবে এবং তাতে অর্থ ছাড়ের অনুমোদন থাকতে হবে। সেবা প্রদানকারী বিদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তিও থাকতে হবে। অর্থ ছাড়ের সময় প্রকল্প কর্তৃপক্ষকে ইনভয়েস ও সেবা নেয়ার প্রমাণস্বরূপ একটি সনদপত্র জমা দিতে হবে। পাশাপাশি উৎসে কর, মূল্য সংযোজন করসহ অন্যান্য প্রযোজ্য কর পরিশোধের বিষয়েও নিশ্চিত হতে হবে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, রয়্যালটি, প্রযুক্তিগত জ্ঞান বা ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি পাঠাতে হলে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) নির্ধারিত নীতিমালাও অনুসরণ করতে হবে।
এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেশে কার্যরত সব বৈধ বৈদেশিক মুদ্রার ডিলারদের কাছে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এই সিদ্ধান্তের ফলে সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়নে বিদেশি অংশীদারদের সঙ্গে লেনদেন আরও সহজ ও দ্রুত হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
]]>