সাম্প্রতিক সময়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিরুদ্ধে কড়াকড়ি আরোপ করেছে। বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মের ওপর সেন্সরশিপের অভিযোগও এনেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এমন পরিস্থিতিতে মার্কিন নাগরিকদের ডিজিটাল মতপ্রকাশে হস্তক্ষেপ কারীদের বিরুদ্ধে নতুন ভিসানীতির ঘোষণা দিলো যুক্তরাষ্ট্র।
যেসব বিদেশি রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তা মার্কিন নাগরিকদের সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেন বা কনটেন্ট মুছতে বলেন তাদের আর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা দেয়া হবে না।
গত বুধবার (২৮ মে) মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এক বিবৃতিতে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় মতপ্রকাশ করলে, তা যদি কোনো বিদেশি সরকারের পছন্দ না হয়, তাও তারা কোনো ব্যবস্থা নিতে পারবেন না। মার্কিন কোম্পানিগুলোর ওপর তারা সেন্সরশিপ চাপিয়ে দিতেও পারবেন না।
আরও পড়ুন: বিদেশি শিক্ষার্থীদের মার্কিন ভিসা নিয়ে দুঃসংবাদ
তবে কোন কোন দেশের বিরুদ্ধে এই নতুন ভিসা নীতি কার্যকর হবে তা বিবৃতিতে নির্দিষ্ট করে কিছু জানাননি রুবিও। অতীতে জার্মানি, ব্রাজিল ও যুক্তরাজ্যকে এই ধরনের ‘সেন্সরশিপ চাপে’র জন্য সমালোচনা করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরও ইউরোপকে ‘সেন্সরশিপের ঘাঁটি’ হিসেবে চিহ্নিত করে গত মঙ্গলবার (২৭ মে) একটি নিবন্ধ প্রকাশ করে, যেখানে বলা হয় সেখানে ‘গণতন্ত্রের নামে’ মতপ্রকাশ ও ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ চলছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নিষেধাজ্ঞা ‘ডিজিটাল সেন্সরশিপ’ মোকাবিলায় এক কঠোর বার্তা। তবে এটা কতটা নীতিগত অবস্থান আর কতটা রাজনৈতিক তা নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা।
আরও পড়ুন: পুতিনের প্রতি ক্ষোভ বাড়ছে ট্রাম্পের, আসতে পারে নতুন নিষেধাজ্ঞা
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থী ভিসা আবেদনকারীদের জন্য নতুন সাক্ষাৎকার স্থগিত করেছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। একইসঙ্গে বিদেশি শিক্ষার্থীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যাচাই বাধ্যতামূলক করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলেও জানায় বিভিন্ন গণমাধ্যম।
]]>