পাসপোর্ট ও ভিসা
পাসপোর্টের মেয়াদ যাচাই করুন, অনেক দেশ পাসপোর্টের মেয়াদ কমপক্ষে ছয় মাস পর্যন্ত বৈধ থাকার শর্ত রাখে। তাই এখনই মেয়াদ নিশ্চিত করে নবায়নের আবেদন করুন। নবায়নের জন্য সাধারণত চার থেকে ছয় সপ্তাহ লাগে।
যে দেশে বেড়াতে যেতে চান, সে দেশের ভিসার জন্য কমপক্ষে দুই মাস আগে আবেদন করা ভালো। ভিসা পেতে অনেক ক্ষেত্রেই বেশি সময় লেগে যায়। এছাড়া ভিসা পেতে কী কী প্রয়োজন, সেগুলোর তালিকা সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাসের ওয়েবসাইট থেকে জেনে নিন। ভ্রমণের সময় পাসপোর্ট ও ভিসার কপি (নরম ও হার্ড কপি) সঙ্গে রাখুন।
অনেক দেশে ট্যুরিস্ট ভিসায় ভিজিট করলেও সেসব দেশের নানা ধরনের নিয়মকানুন থাকে। যেমন মহামারিপ্রবণ কোনো এলাকায় গেলে কিছু নির্দিষ্ট টিকা সনদের প্রয়োজন পড়ে। তাই যেকোনো দেশে যাওয়ার আগে এ ধরনের শর্ত আছে কি না, তা জেনে নিন।
টিকিট ও হোটেল বুকিং
বিমান বা অন্যান্য পরিবহনের টিকিট আগেই বুক করে রাখুন। আগে ভিসা হয়ে গেলে আগেভাগে সাশ্রয়ী দামে পরিবহনের টিকিটও কেটে ফেলা যায়।
এদিকে ভ্রমণের জনপ্রিয়তা বাড়ার সঙ্গে বেড়েছে হোটেলের চাহিদাও। ফলে শেষ মুহূর্তে অথবা গন্তব্যে পৌঁছে হোটেল বুক করার সুযোগ অনেকটাই কমে এসেছে। তাই আগেই হোটেল বুকিং নিশ্চিত করুন। ঝামেলা এড়াতে বুকিংয়ের কাগজ সঙ্গে রাখতে হবে। যদি এয়ারবিএনবি (একটি অনলাইন মার্কেটপ্লেস যা স্বল্প এবং দীর্ঘমেয়াদী আবাসনের জন্য পরিচিত) বা অন্য কোথাও থাকার ব্যবস্থা করেন, তবে তারও প্রমাণ সঙ্গে রাখুন।
আর্থিক প্রস্তুতি
আপনার বাজেট পরিকল্পনা করুন এবং সেই অনুযায়ী টাকা প্রস্তুত রাখুন। আন্তর্জাতিকভাবে ব্যবহার করা যায় এমন ক্রেডিট কার্ড বা ডেবিট কার্ড সঙ্গে নিন। ডলারের পাশাপাশি কিছু স্থানীয় মুদ্রাও সঙ্গে রাখুন।

ভ্রমণ বিমা
ভ্রমণ বিমা করতে ভুলবেন না যেন। এই জিনিসটি অনেকেই ভুলে যান। কিন্তু হঠাৎ যদি অচেনা দেশে গিয়ে আহত কিংবা অসুস্থ হয়ে পড়েন, এটিই সবার আগে কাজে আসবে। ট্রাভেল ইন্সুরেন্স ছাড়া অন্য দেশে গিয়ে চিকিৎসার খরচ বিপুল হতে পারে। যা সামলানো হবে অত্যন্ত কঠিন।
যেসব জিনিস সঙ্গে রাখবেন
আবহাওয়ার কথা বিবেচনা করে পোশাক নির্বাচন করুন। হালকা ও আরামদায়ক পোশাক নিন, যা সহজে বহন করা যায়। আরামদায়ক জুতা নিন যা দিয়ে অনেক পথ হাঁটা যাবে। টুথব্রাশ, টুথপেস্ট, শ্যাম্পু, সাবান, ইত্যাদি প্রয়োজনীয় জিনিস সঙ্গে রাখুন। ছোটখাটো অসুস্থতার জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র সঙ্গে নিন।
রোদ থেকে রক্ষার জন্য টুপি, সানগ্লাস, চার্জার, পাওয়ার ব্যাংক, ক্যামেরা, ইত্যাদি প্রয়োজনীয় জিনিস সঙ্গে নিন। এছাড়া গন্তব্য দেশের ভাষা, সংস্কৃতি, এবং সাধারণ নিয়মকানুন সম্পর্কে জেনে রাখা ভালো। আপনার ভ্রমণের রুট এবং স্থানগুলো সম্পর্কেও বিস্তারিত জেনে রাখতে পারেন। তাহলে ভ্রমণ আরও সহজ হবে।
জরুরি অবস্থার জন্য কিছু শুকনো খাবার সঙ্গে নিন। আপনার ভ্রমণের বিস্তারিত তথ্য আপনার পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে পরামর্শ করুন। বিমানবন্দরে ভ্রমণের জন্য যথেষ্ট সময় হাতে নিয়ে বের হোন। এই প্রস্তুতিগুলো আপনাকে একটি সুন্দর এবং নিরাপদ বিদেশ ভ্রমণ করতে সাহায্য করবে।
আরও পড়ুন: শান্তির খোঁজে ঘুরে আসতে পারেন যেসব দেশ
ছোটখাটো আরও কিছু বিষয় রয়েছে, যেগুলো মাথায় না রাখলে বিদেশ ভ্রমণে গিয়ে বিড়ম্বনা বা বিপদে পড়তে পারেন। তাই আগে থেকেই প্রয়োজনীয় সমস্ত কাগজপত্রের ফটোকপি ব্যাগে রাখা, পর্যাপ্ত পরিমাণ ডেটা, টকটাইমসহ সংশ্লিষ্ট দেশের একটা মোবাইল সিম কিনে নিতে পারেন।
ভ্রমণে অন্যতম সঙ্গী হয় ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলোও। যে দেশে যাচ্ছেন, সেখানে কী ধরনের অ্যাডাপ্টার, কনভার্টার, ট্রান্সফরমার ব্যবহৃত হয়, সেসব সম্পর্কে জেনে নেয়া ভালো।
]]>