স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) কমান্ডারদের এক ‘বিরল’ সমাবেশে হেগসেথ বলেছেন, মার্কিন সেনা কর্মকর্তারা যদি তার এজেন্ডা সমর্থন না করেন, তবে তাদের পদত্যাগ করা উচিত। খবর রয়টার্সের।
ভার্জিনিয়ার কোয়ান্টিকোতে অনুষ্ঠানের শুরুতে তিনি বলেন, ‘বোকা এবং বেপরোয়া রাজনৈতিক নেতারা ভুল দিকনির্দেশনা স্থাপন করেছিল এবং আমরা আমাদের পথ হারিয়ে ফেলেছিলাম। কিন্তু আর নয়।’
বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে তলব করা যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ জেনারেল এবং অ্যাডমিরালদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখার সময় হেগসেথ এর আগে কয়েকজন অফিসারকে বরখাস্তের পক্ষে তার যুক্তি তুলে ধরেন। এই তালিকায় ছিলেন শীর্ষ মার্কিন জেনারেল, যিনি একজন কৃষ্ণাঙ্গ এবং নৌবাহিনীর শীর্ষ অ্যাডমিরাল, যিনি একজন নারী।
আরও পড়ুন: সেনা কর্মকর্তাদের উদ্দেশে ট্রাম্প /‘আমার সঙ্গে একমত না হলে, তাদের বরখাস্ত করব’
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, তিনি যে অফিসারদের বরখাস্ত করেছেন তারা একটি ‘ভাঙা সংস্কৃতির অংশ’।
‘অতিরিক্ত ওজনের’ সৈন্যদের চেহারার সমালোচনা করে হেগসেথ বলেছেন,
পেন্টাগনের হলগুলোতে মোটা জেনারেল এবং অ্যাডমিরালদের দেখা সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য।
তিনি বলেন, সমস্ত ফিটনেস পরীক্ষা শুধুমাত্র পুরুষদের মানদণ্ডের ওপর নির্ভর করবে এবং গ্রুমিং স্ট্যান্ডার্ডের গুরুত্বের ওপরও জোর দেন।
এসময় নীরব বসে থাকা সেনা সদস্যদের উদ্দেশে পিট হেগসেথ বলেন, ‘অপেশাদার চেহারার যুগ শেষ। আর দাড়িওয়ালা (সেনা) চলবে না।’
এদিকে দেশটির প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার বক্তৃতা শুরু করেছেন এই হুমকি দিয়ে যে, যারা তার সাথে একমত নন তাদের বরখাস্ত করা হবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আপনারা (সেনারা) যা খুশি তাই করতে পারেন।’
‘আর যদি আমার কথা পছন্দ না হয়, তাহলে আপনারা রুম থেকে বেরিয়ে যেতে পারেন, কারণ সেখানেই আপনাদের পদমর্যাদা, সেখানেই আপনাদের ভবিষ্যৎ’, যোগ করেন ট্রাম্প।
আরও পড়ুন: বাজেট দ্বন্দ্বে ‘শাটডাউন’ আশঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্র
মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার বক্তৃতার পরবর্তী কয়েক মিনিট প্রতিরক্ষা বিভাগের নাম পরিবর্তন করে যুদ্ধ বিভাগ রাখার সিদ্ধান্তের ওপর আলোকপাত করেন। তার দাবি, এই পরিবর্তনটি ‘খুব জনপ্রিয়’ হয়েছে।
সূত্র: রয়টার্স, আল জাজিরা
]]>