বিচারকের ছেলেকে হত্যার ঘটনায় এবার মামলা

২ দিন আগে
রাজশাহীতে বিচারকের নিজের ফ্ল্যাটে ছেলে তাওফিক রহমান সুমন (১৫) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা হয়েছে । শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে নগরীর রাজপাড়া থানায় বিচারক আবদুর রহমান বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলার একমাত্র আসামি করা হয়েছে লিমন মিয়াকে। ‌‌

হত্যাকাণ্ড ঘটার পরপরই পুলিশ লিমনকে আটক করে। মামলার পর তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

 

মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র ও কমিশনার গাজীউর রহমান জানান, আসামি লিমন মিয়াকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হবে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পরে ঘটনার প্রকৃত রহস্য করা যাবে।

 

এদিকে শুক্রবার নিহত তাওফিক রহমানের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে তার মরদেহ ময়নাতদন্ত করেন ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক কফিল উদ্দিন এবং প্রভাষক শারমিন সোবহান কাবেরী।

 

ময়নাতদন্ত শেষে ফরেনসিক বিভাগের অধ্যাপক ডাক্তার কফিল উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান , ধারালো ও চোখা অস্ত্রের আঘাতে শরীরের তিনটি স্থানে রক্তনালি ছিঁড়ে যাওয়ায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ঘটে। এছাড়াও অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হয়েছিল সুমনের। এতে তার মৃত্যু হয়।

 

আরও পড়ুন: হাইকোর্টের সামনে খণ্ডিত মরদেহ: আশরাফুলের বন্ধুকে আসামি করে মামলা

 

অধ্যাপক কফিল উদ্দিন আরো জানান, তাওসিফের ডান ঊরু, ডান পা ও বাম বাহুতে ধারালো অস্ত্রের আঘাত পাওয়া গেছে। এসব স্থানে গুরুত্বপূর্ণ রক্তনালি কেটে যাওয়ায় বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ ঘটে। এই অতিরিক্ত রক্তক্ষরণই তার মৃত্যুর প্রধান কারণ।

 

পুলিশের সুরতহাল প্রতিবেদনে তাওসিফের গলায় কালশিরার দাগের উল্লেখ থাকলেও ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক বলেন, নরম কিছু দিয়ে শ্বাসরোধের চেষ্টা থেকে এমন দাগ তৈরি হতে পারে। তবে এটি মৃত্যুর মূল কারণ নয়। বরং, ধারালো অস্ত্রের আঘাত এবং শ্বাসরোধের চেষ্টা একই সময়ে হয়েছে।

 

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে রাজশাহী মহানগরীর ডাবতলা এলাকায় মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আব্দুর রহমানের ভাড়া বাসায় ঢুকে তার ছেলে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাওসিফ রহমান সুমনকে (১৫) ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনা ঘটে। একই ঘটনায় বিচারকের স্ত্রী তাসমিন নাহার লুসীও (৪৪) গুরুতর আহত হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

 

আরও পড়ুন: নুরাল পাগলের লাশ পোড়ানো মামলার আসামি আ.লীগ-বিএনপি ও জামায়াত-এনসিপির নেতারা

 

হামলার ঘটনায় জড়িত লিমন মিয়া (৩৫) নামে একজনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার সময় ধস্তাধস্তিতে আহত হওয়ায় তিনিও চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার মদোনেরপাড়া গ্রামের হেমায়েত মিয়া সোলায়মান শাহিদের ছেলে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন