বিচারকের ছেলে হত্যা: পুলিশ হেফাজতে থাকা আসামির বক্তব্য অপসারণে হাইকোর্টে রিট

১ সপ্তাহে আগে
রাজশাহী মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আব্দুর রহমানের ডাবতলা এলাকার ভাড়া বাসায় ঢুকে ছেলে সুমনকে হত্যা ও স্ত্রী তাসমিন নাহারকে গুরুতর জখম করার মামলায় পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় আসামি লিমন মিয়ার দেয়া ভিকটিম ব্লেমিং ভাইরাল বক্তব্য অপসারণ, ঘটনায় সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন এবং বিচারকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সুপ্রিম কোর্টের নিরাপত্তাবিষয়ক পরিপত্র দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে হাইকোর্ট বিভাগে একটি রিট দায়ের করা হয়েছে।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিচারপতি ফয়েজ আহমেদ ও বিচারপতি মো. মনজুর আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চে রিটটি দাখিল করা হয়।

 

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট বেল্লাল হোসাইন (মুন্সী বেল্লাল) রিটটি দায়ের করেন। রিটে পিটিশনারের পক্ষে আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খান।

 

রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, তথ্য সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকসহ রাজপাড়া থানা (রাজশাহী), জালালাবাদ থানা (সিলেট) এবং বোয়ালিয়া থানা (রাজশাহী)-এর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বিবাদী করা হয়েছে।

 

রিটে বলা হয়েছে, ভুক্তভোগী বিচারক পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হওয়ার কারণে কেন বিবাদীদের দায়ী করা হবে না সে বিষয়ে রুল জারি করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে বিচারক ও তাদের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কার্যকর নীতিমালা প্রণয়ন, পুলিশ হেফাজতে মিডিয়ায় আসামির ভিকটিম ব্লেমিং বক্তব্য অপসারণে বিটিআরসি চেয়ারম্যানকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেয়া এবং ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি করা হয়। এছাড়া বিচারকদের নিরাপত্তা বিষয়ে পূর্বে জারি করা সুপ্রিম কোর্টের পরিপত্র দ্রুত বাস্তবায়ন করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। আগামী সপ্তাহে রিটের শুনানি হতে পারে।

 

আরও পড়ুন: বিচারকদের নিরাপত্তায় কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি রাজশাহী বিচার বিভাগের

 

উল্লেখ্য, গত ১৩ নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রাজশাহী নগরীর ডাবতলা এলাকায় স্পার্ক ভিউ ভবনের পঞ্চম তলায় জেলা ও মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আব্দুর রহমানের ছেলে তাওসিফ রহমান সুমন ও তার স্ত্রী তাসমিন নাহারকে ছুরিকাঘাতে আহত করে লিমন মিয়া। হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক সুমনকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পরদিন বিচারক আব্দুর রহমান লিমনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন এবং আদালত লিমনের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।

 

গত বৃহস্পতিবার আহত লিমন মিয়াকে অপারেশন থিয়েটার থেকে বের করে আনার সময় তার বক্তব্য কয়েকটি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত হয় এবং তা ভাইরাল হয়ে পড়ে। পুলিশের উপস্থিতিতে আসামির বক্তব্য ধারণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে মোট ১১ জন পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়। এছাড়া পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ানকে আগামী ১৯ নভেম্বর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক মামুনুর রশীদের আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন