তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের ব্যাপারে বারবার বক্তব্য দিচ্ছে। তারপরও রাজনৈতিক দলগুলো ও সাধারণ মানুষ এই সরকারের ওপর আস্থা রাখতে পারছে না।’
রোববার (১৬ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টায় ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ডাকবাংলা বাজারে নির্বাচনী গণসংযোগ শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব কথা বলেন।
আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আদায় করে নিতে গণঅভ্যুত্থানের শক্তিগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে বিএনপি, জামায়াত, গণঅধিকার পরিষদ, এনসিপির তৎকালীন নেতাসহ রাজনৈতিক দলগুলো একই সুরে কথা বলেছিলাম। ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনে আমরা সব দলের মতপার্থক্য ভুলে একসাথে লড়াই করেছিলাম। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আজ একেক দল একেক রকম কথা বলছে। একেক দল একেক রকম বক্তব্য দিচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে আগামী নির্বাচন নিয়ে সংশয় বাড়বে। আর যথাসময়ে নির্বাচন না হলে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেয়া দলগুলোর নেতাকর্মীরা কেউই ভালো থাকতে পারব না।’
আরও পড়ুন: আ. লীগ নেতাদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া ঠেকাতে ইসিতে রাশেদ খান
রাশেদ খান আরও বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য এই সরকারকে আমাদের সবার সহযোগিতা করা উচিত। আগামী নির্বাচন আমাদের সকলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন।’
বিএনপির সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের নির্বাচনী জোট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানসহ বিগত দিনগুলোতে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদ যুগপৎ আন্দোলন করে গেছে। বিএনপির সঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের রাজনৈতিক পথচলা দীর্ঘদিনের। আগামী নির্বাচন ঘিরে জোট গঠনসহ নানা বিষয়ে বিএনপির সঙ্গে আমাদের অনানুষ্ঠানিক আলাপ আলোচনা চলছে। বিএনপি ছাড়াও ফ্যাসিবাদ বিরোধী অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও আমাদের আলোচনা হয়েছে। মূলত, ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধ থাকতে বিএনপি, গণঅধিকার পরিষদ, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ অন্য দলগুলো সব সময় পারস্পরিক আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।’
এর আগে বিকেল সাড়ে ৫টায় সদর উপজেলার ডাকবাংলা বাজারে গণসংযোগ করে জেলা গণঅধিকার পরিষদ। এসময় জেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি প্রভাষক মো. সাখাওয়াত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল জাহিদ রাজন, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি রিহান হোসেন রায়হান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

১২ ঘন্টা আগে
১








Bengali (BD) ·
English (US) ·