‘বিএনপির চিন্তায় এখন শুধুই জাতীয় নির্বাচন’, ‘১৩’র পর ‘১৭’ শঙ্কা

২ দিন আগে
দেশের শীর্ষ পত্রিকাগুলোতে প্রতিদিন বিভিন্ন খবর প্রধান শিরোনাম হয়। সামনে জাতীয় নির্বাচন ঘিরে এসব খবরের গুরুত্ব আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি।

তাই আমরা নিয়ে এসেছি— দেশের শীর্ষ পত্রিকাগুলোর প্রধান প্রধান শিরোনামকে এক জায়গায় তুলে ধরার অনন্য এক আয়োজন, যেখানে এক নজরেই দেখে নেয়া যাবে দেশের সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা, রাজনৈতিক উত্তাপ, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, সমাজের পরিবর্তন এবং বিশ্বমঞ্চের নতুন বার্তা।

 

দেশের শীর্ষস্থানীয় জাতীয় পত্রিকায় শনিবারের (১৫ নভেম্বর) প্রকাশিত কিছু খবর নিচে তুলে ধরা হলো।

 

বিএনপির চিন্তায় এখন শুধুই জাতীয় নির্বাচন—প্রথম আলোর প্রথম পাতার প্রধান শিরোনাম এটা।

 

এখানে বলা হয়েছে, জুলাই জাতীয় সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে সন্তুষ্টি বা অসন্তুষ্টি যা-ই থাকুক না কেন, সেগুলো বেশি গুরুত্ব না দিয়ে বিএনপি পূর্ণোদ্যমে জাতীয় নির্বাচনের দিকেই এগোচ্ছে। দলটির নীতিনির্ধারণী নেতারা বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্তে কিছু বিষয়ে জোরালো মতপার্থক্য থাকলেও গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একই দিনে আয়োজনের ঘোষণায় তাঁরা স্বস্তি পেয়েছেন। এতে তাঁদের মুখ্য চাওয়াটি পূরণ হয়েছে। বাকি মতপার্থক্যের বিষয়গুলো নিয়ে বিএনপি এই মুহূর্তে খুব চিন্তিত নয়।

 

এ বিষয়ে দলটির একাধিক দায়িত্বশীল নেতার সঙ্গে কথা বলে যে ধারণা পাওয়া গেছে, সেটি হচ্ছে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পথ নির্ধারিত হবে গণভোটে বা জনগণের অভিপ্রায়ে। সনদ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে মতপার্থক্যের বিষয়গুলোতে বিএনপি গণভোটের রায়ের অপেক্ষায় থাকবে। তবে গণভোটে তাদের কৌশল ‘হ্যাঁ’ হবে নাকি ‘না’ হবে, সেটি এখনো স্পষ্ট নয়। এই মুহূর্তে বিএনপির চিন্তা শুধুই জাতীয় নির্বাচন।

তবে রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের বিষয়ে দলটি মানদণ্ড হিসেবে নিয়েছে ১৭ অক্টোবর জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় রাজনৈতিক দলগুলোর স্বাক্ষরিত জুলাই সনদকে। এর বাইরে বিএনপির নীতিনির্ধারণী নেতারা অন্য কিছু ভাবছেন না। বিষয়টি গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত দলের নীতিনির্ধারণী পর্ষদ জাতীয় স্থায়ী কমিটির সর্বশেষ সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তেও প্রকাশ পেয়েছে।

 

সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দুই অনুচ্ছেদের যে বক্তব্যটি পড়েন, তার শেষ অংশটি ছিল এমন—গত ১৭ অক্টোবর ঐকমত্যের ভিত্তিতে স্বাক্ষরিত জুলাই জাতীয় সনদের ওপর জনগণের সম্মতি গ্রহণের জন্য গণভোট অনুষ্ঠান এবং শিগগিরই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করার জন্য সরকার ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি স্থায়ী কমিটি আহ্বান জানাচ্ছে।

আরও পড়ুন: শুক্রবারের পত্রিকা: ‘সব পক্ষকে তুষ্ট করে আদেশ’, ‘হাসিনা ফিরতে চান তবে...’


সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এর বার্তা হচ্ছে, সংসদ নির্বাচনের দিনে যে গণভোট হবে, সেটি হবে স্বাক্ষরিত জুলাই সনদের ওপর। আর বিএনপির স্থায়ী কমিটি প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানিয়েছে দুটি বিষয়ে। তা হচ্ছে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা পুনর্ব্যক্ত করা এবং সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোট অনুষ্ঠানের ঘোষণার জন্য। একই দিনে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট অনুষ্ঠান বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে সুবিধাজনক অবস্থান দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

 

জাতীয় নির্বাচনের দিনে গণভোট নাকি আগে—এই প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলো, বিশেষ করে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর মতবিরোধ সাম্প্রতিক সময়ে বেশ তীব্র হয়ে ওঠে। গণভোট আগে হোক, সেটা বিএনপি কোনোভাবেই চায়নি।

 

‘১৩’র পর ‘১৭’ শঙ্কা—এটা দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকার প্রথম পাতার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ খবর।

 

এতে বলা হয়েছে, জুলাই-আগস্টে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রায়ের দিন ঘোষণাকে কেন্দ্র করে গত কয়েক দিন ককটেল হামলা, গণপরিবহন ও বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন দেয়াসহ নানা ঘটনা ঘটেছে। রায়ের দিন ধার্যকে কেন্দ্র করে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের আতঙ্ক দেখা দিয়েছে দেশের মানুষের মনে। ওইদিন শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী মামলার রায় ঘোষণা করবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এর প্রতিবাদে চার দিনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ।

 

‘লকডাউন’ কর্মসূচি মানুষের মনে ছড়িয়েছে আতঙ্ক। সেই আতঙ্কের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার ১৭ নভেম্বরের জনমনে সরকারের সতর্ক অবস্থান ও জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের পক্ষের শক্তির প্রতিহত করার ঘোষণায় ঢাকা লকডাউন কর্মসূচি বেশ আলোচনায় উঠে আসে। লকডাউন কর্মসূচি ঘিরে যানবাহনে আগুন ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় রাজধানী জুড়ে ভয়ের আবহ ফুটে ওঠে।

গতকাল শুক্রবার থেকে টানা চার দিনের কর্মসূচি শুরু হয়েছে আওয়ামী লীগের। এর মধ্যে শুক্র ও শনিবার সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল এবং রবি ও সোমবার দুদিন সারা দেশে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। এ কর্মসূচি কেন্দ্র করে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা শহরে অগ্নিসংযোগ, ককটেল নিক্ষেপ ও সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে দলটির নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগের এমন সহিংসতা মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

 

এক দিন পরই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় হবে। আগামী সোমবার (১৭নভেম্বর) এ রায় ঘিরে দেশকে অস্থিরতার মধ্যে ফেলতে। আওয়ামী লীগ জ্বালাও-পোড়াও করছে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা শহরে অগ্নিসংযোগ, ককটেল নিক্ষেপ ও সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন দলটির নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগের এমন সহিংসতা মোকাবিলায় প্রস্তুত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এর মধ্যেও বিভিন্ন স্থানে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাচ্ছেন আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।

 

প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমবে, সংবিধান সংশোধন কঠিন —এটা দৈনিক সমকাল পত্রিকার লিড নিউজ।

 

এতে বলা হয়েছে, জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ গণভোটে পাস হলে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে কাউকে নিয়োগ দেয়ার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর একচ্ছত্র ক্ষমতা কমবে। প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়োগ কমিটিতে সরকারি ও বিরোধী দলের সদস্যের সংখ্যা কিছু ক্ষেত্রে সমান হবে; কিছু ক্ষেত্রে সরকারি দলের প্রাধান্য থাকবে। আবার কিছু প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ সদস্যের মাধ্যমে ভারসাম্য রক্ষা করা হবে। এর ফলে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিয়োগের ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন দল সুবিধাজনক অবস্থায় থাকলেও প্রধানমন্ত্রীর একক ক্ষমতা থাকবে না।

এছাড়া গণভোটে ‘হ্যাঁ’ জয়ী হলে সংসদ নির্বাচনে পাওয়া ভোটের অনুপাতে (পিআর) সংসদের উচ্চকক্ষের আসন বণ্টন হবে। সংবিধান সংশোধন ও পরিবর্তন করতে হলে ১০০ সদস্যের উচ্চকক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সমর্থন লাগবে। সংসদ নির্বাচনে কোনো দল ৫০ শতাংশ বা তার বেশি ভোট না পেলে উচ্চকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারবে না। ফলে ক্ষমতাসীন দলের জন্য সংবিধান সংশোধন করা কঠিন হবে।

 

উপদেষ্টা পরিষদে গত বৃহস্পতিবার অনুমোদনের পর রাষ্ট্রপতি যে সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করেছেন, তাতে এসব বিধান রয়েছে। আদেশের মর্যাদা কী, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

 

মেটামডার্ন প্রশাসকের ন্যায্য নগরের রিপোর্ট কার্ড এখনো শূন্য—দৈনিক বণিক বার্তা পত্রিকার প্রথম পাতার প্রধান খবর এটা।

 

এতে বলা হয়েছে, তীব্র যানজট, বেদখল ফুটপাত, পার্ক, মাঠ আর দখলে-আবর্জনায় দুর্দশাগ্রস্ত জলাশয়ের শহর ঢাকা। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক হিসেবে শপথ নেন রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টারের (আরডিআরসি) তৎকালীন চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এজাজ। দায়িত্ব নেয়ার পর ‘ন্যায্য ঢাকা’ গড়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি।

 

অনেকেই প্রত্যাশা করেছিলেন রাজধানীর নগরশাসন হয়তো নতুন ধরনের চিন্তার দিকে যাচ্ছে। কেউ কেউ এটিকে ‘মেটামডার্ন মিউনিসিপ্যালিজমের’ সূচনা হিসেবেও দেখেছিলেন। কিন্তু প্রত্যাশার সঙ্গে বাস্তবতার ফারাক ব্যাপক। নাগরিক ভোগান্তি, অবকাঠামোগত বিশৃঙ্খলা আগের মতোই চলছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় দৃশ্যমান উন্নতি নেই। ফুটপাত-ফুটওভার ব্রিজ নির্বিঘ্ন চলাচলের উপযোগী হয়নি।


 

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সিটি করপোরেশন ব্যর্থ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মোহাম্মদ এজাজ দীর্ঘ সময় খাল-জলাশয় ও নদী নিয়ে গবেষণাধর্মী কাজ করেছেন। এসব বিষয়ে সরকারের পলিসি লেভেলে কী ধরনের ত্রুটি হয়ে থাকে তা নিয়ে সোচ্চার ছিলেন। প্রশাসক হওয়ার পর গত নয় মাসে তার কার্যক্রম নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে তারা বলছেন, এখনো ঢাকার নগর জীবনে ন্যায্যতা তো দূরের কথা ন্যূনতম পরিবর্তনটুকুও আসেনি।


দায়িত্ব গ্রহণের পর মোহাম্মদ এজাজের প্রতিশ্রুতিগুলো কাগজে-কলমে আধুনিক শহর গড়ার বহুল আলোচিত তত্ত্ব ‘মেটামডার্ন নগরায়ণের’ সঙ্গে উল্লেখযোগ্যভাবে মিলে যায়। এ তত্ত্বে সম্পদের সমান বণ্টন, গণপরিবহনে ন্যায্য প্রবেশাধিকার, প্রকৃতি ও জনপরিসরকে জনসাধারণের সম্পদ হিসেবে রক্ষা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে নাগরিকদের সরাসরি অংশগ্রহণের ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়। তবে এখন পর্যন্ত এ মিল কেবল নীতিগত স্তরেই সীমাবদ্ধ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ন্যায্য নগরের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নগর পিতার আসনে বসা এজাজের রিপোর্ট কার্ড এখনো শূন্য। তার প্রতিশ্রুতিগুলো তত্ত্বে মেটামডার্ন হলেও বাস্তবে তার কোনো প্রতিফলন দৃশ্যমান হয়নি।


মনোযোগ এখন নির্বাচনে—এটা দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রথম পাতার প্রধান খবর।

 

খবরে বলা আছে, জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় ঘোষণা করা হয়েছে আরও কয়েক মাস আগে। এরপর প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে প্রধান দুই দলের মাঠের তৎপরতায় রাজনীতিতে ভোটের আমেজ চলে এসেছিল। যেটুকু সংশয় ছিল তা জুলাই জাতীয় সনদ নিয়ে। সনদ নিয়ে মতপার্থক্যে কোনো দল না শেষ পর্যন্ত বেঁকে বসে! তবে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারির পর দলগুলোর মনোভাব এখন পর্যন্ত মোটা দাগে ইতিবাচক বলেই মনে হচ্ছে। দলগুলোও মনোযোগী হয়েছে ভোটের প্রচারে।

 


সরকার জুলাই জাতীয় সনদের বাস্তবায়ন আদেশ জারি করেছে গত বৃহস্পতিবার। বিএনপির দাবি অনুযায়ী, জাতীয় নির্বাচন ও সনদ নিয়ে গণভোট একই দিনে হবে বলে সেখানে জানানো হয়েছে। অন্য কিছু বিষয়ে সামান্য আপত্তি থাকলেও দলটির পক্ষ থেকে সরকারের পদক্ষেপকে স্বাগত জানানো হয়েছে। ফলে বিএনপি এখন ভোটে মনোযোগ দেবে।

 

‘আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না’—এটা দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার প্রথম পাতার খবর।
 

এতে বলা আছে, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় কার্যক্রম স্থগিত থাকায় এবং পরে নির্বাচন কমিশন দলটির নিবন্ধন বাতিল করায় আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।’

 

গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সফররত যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক উন্নয়নমন্ত্রী ব্যারনেস জেনি চ্যাপম্যানের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

বৈঠকে আসন্ন নির্বাচন, অবৈধ অভিবাসন, বাণিজ্য সম্প্রসারণ, রোহিঙ্গা সংকটসহ বিমান ও নৌ খাতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা সম্প্রসারণের ইস্যু বিষয়ে আলোচনা হয়। আগামী জাতীয় নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, 'আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সময়মতোই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং তা হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও অংশগ্রহণমূলক।'

 

তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই নির্বাচনে বিপুলসংখ্যক নতুন ভোটার প্রথম বারের মতো ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। গত ১৬ বছরের স্বৈরতন্ত্রের সময়ে টানা তিনটি 'কাটাছেঁড়া' নির্বাচনের কারণে তারা ভোট দিতে পারেননি বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বৈঠকে তিনি আরো বলেন, জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে লাখো মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়ে 'জুলাই সনদ' বাংলাদেশে একটি 'নতুন সূচনা' করেছে।

 

যুক্তরাজ্যের মন্ত্রী চ্যাপম্যান অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি জুলাই সনদ নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলোর চলমান সংলাপকেও ইতিবাচক হিসেবে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের অভিবাসীদের মাধ্যমে


গণভোটের চার প্রশ্ন বুঝতে পারবেন কতজন—এটা দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার লিড নিউজ।

এখানে বলা আছে, জুলাই সনদ বাস্তবায়নে সম্মতি আদায়ে অনুষ্ঠেয় গণভোটের জন্য সরকার চারটি প্রশ্ন নির্ধারণ করে দিয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, এই চারটি প্রশ্ন পড়ে এবং বুঝে দেশের শতকরা কতজন মানুষ সম্মতি দিতে পারবে। তাছাড়া জুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রশ্নে যেখানে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেই বিরোধ রয়েছে, সেখানে সমর্থক ভোটারদের ভোট দিতে তারা উৎসাহিত করবেন কি না সে প্রশ্নও রয়েছে।

 

এদিকে সচেতন জনগোষ্ঠীর পাশাপাশি সুধী সমাজের মধ্যেও এ প্রশ্নে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। তাদের কারও মতে, বাংলাদেশের মতো অনগ্রসর একটি দেশে গণভোটের জন্য চারটি প্রশ্ন নির্ধারণ করে দেওয়া অত্যন্ত জটিল একটি প্রক্রিয়া, যার সুফল পাওয়া খুব সহজ হবে না।

আবার কেউ বলছেন, চার প্রশ্ন সবাই বুঝতে না পারলেও কেউ কেউ পারবে। তবে যারা বুঝতে পারবেন তারা সবাই চার প্রশ্নের সঙ্গে একমত না হলে কী করবেন সে বিষয়ে কোনো দিকনির্দেশনা না থাকায় কেউ কেউ এর সমালোচনা করছেন।

 

তারা বলছেন, গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একই দিনে করা এবং উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতি বাস্তবায়নের কথা বলে জামায়াতে ইসলামী এবং বিএনপি উভয় দলকে খুশি করা হয়েছে। কিন্তু এটি করতে গিয়ে জুলাই সনদকে কঠিন করে ফেলা হয়েছে। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ এবং ভোটারদের মনস্তত্ত্ব বুঝে চার প্রশ্ন তৈরি করা হয়নি। সাধারণ মানুষ জুলাই সনদের বিষয়ে খুব বেশি অবহিত নয় বলে তারা মনে করেন।


 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন