বিএনপি কর্মীর মরদেহ নিয়ে আন্দোলনে স্বজন ও সহকর্মীরা

১ দিন আগে
রংপুরের বদরগঞ্জে বিএনপি কর্মী শফিকুল হত্যার বিচারের দাবিতে মরদেহ নিয়ে আন্দোলন করেছে স্বজন ও সহকর্মীরা। বিএনপির দুগ্রুপের আধিপত্যর জেড়ে সংঘর্ষে আহত শফিকুল ৩ মাস ২০ দিন পর শুক্রবার (২৬ জুলাই) বেলা ১১ টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। শফিকুল ইসলামের বাড়ি বদরগঞ্জের লোহানীপাড়া ইউনিয়নের কাঁচাবাড়ি গ্রামে।

শনিবার (২৬ জুলাই) দুপুরে উপজেলার শহীদ মিনার চত্বরে নিহত শফিকুল এর মরদেহ নিয়ে আন্দোলন করেন তারা।

 

এসময় স্বজন ও সহকর্মীরা দাবি করে বলেন, সহজ সরল শফিকুল গত ৫ এপ্রিল বদরগঞ্জে আসলে দোকান ভাড়াকে কেন্দ্র করে একটি সংঘর্ষে মাঝে পরে যায়। সেখানে ইউপি চেয়ারম্যান মানিক মিয়ার বাহিনীর লক্ষবস্তুতে পরিণত হয়ে গুরুতর আহত হন শফিকুল। রংপুর মেডিকেলে চিকিৎসাধীন থাকার পর গতকাল মারা যান তিনি। শনিবার দুপুরে মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ নিয়ে এসে হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান শফিকুলের সন্তান ও স্বজনরা।

 

এসময় বিএনপি কর্মী শফিকুল হত্যার বিচারের দাবিতে তার ছেলে মুরাদ বলেন, ‘আজকে আমরা এতিম হয়েছি কাল আপনারা এতিম হবেন। এরকম সন্ত্রাসীকে বদরগঞ্জ মাটি থেকে উপড়ে ফেলতে হবে। তাই সবাইকে আহ্বান জানাই, আমরা সবাই এক জোট হয়ে মানিক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান।’

 

আরও পড়ুন: যারা পরিবেশকে ধ্বংস করবে, পাবে না বিএনপির মনোনয়ন: আমীর খসরু

 

অশ্রুভেজা নয়নে শফিকুলের মেয়ে মিম আক্তার বলেন, আমার বাবা যে এতদিন ধরে কষ্ট করছে, সেজন্য আমরা চাই এই খোলা আকাশের নিচে দোষীদের ফাঁসি দেয়া হোক। তাহলে আমাদের মন শান্তি হবে; আমার বাবাও শান্তি পাবে। আর কিছু চাই না আমরা। শুধু দোষীদের শাস্তি চাই আমরা। মানিক চেয়ারম্যান তার ছেলে তমাল ও সঙ্গীদের ফাঁসি চাই। আমার বাবাকে তারা দিনে-দুপুরে কুপিয়ে হত‍্যা করেছে।

 

এসময় জেলা বিএনপির বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি ও সাবেক সাংসদ মোহাম্মদ আলী সরকার বলেন, বিএনপির একনিষ্ঠ কর্মী থাকার কারনে নামধারী একটি কুচক্রী মহল দিবালোকে হত্যা করেছে তাকে। এনিয়ে থানায় মামলা হলেও নির্বিকার ভূমিকায় পুলিশ। দ্রুত অপরাধীদের আইনের আওতায় না আনা হলে কঠোর আন্দোলন করা হবে।

 

আরও পড়ুন: বিএনপির কাউন্সিলে জাল ভোটকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ

 

রংপুরের বদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন, ঘটনার পর পর আমরা কয়েকজন আসামিকে গ্রেফতার করি। এই ঘটনার সাথে যারাই জড়িত আছে সবাইকে আইনের আওতায় আনার জন‍্য চেষ্টা করছি।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন