সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সিংড়া উপজেলার ছাতারদিঘি ইউনিয়নের ৬ কিলোমিটারের বিএডিসির এই খালটি পাকিশা ব্রিজ থেকে দখল করেছেন প্রভাবশালীরা। ব্রিজের এই স্থান থেকে খালে বাঁধ দিয়ে ৭টি পকুর নির্মাণ করেছেন তারা। গত ৩ বছর খাল দখল করে মাছ চাষ করছেন প্রভাবশালীরা।
জানা যায়, খাল দখল করে নেয়ায় ফলে নাটোর ও বগুড়া জেলার প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকার বর্ষায় আবাদি জমির পানি নামতে পারছে না খালটি দিয়ে। ফলে আবাদি জমিগুলোতে ধান রোপণ করতে পারছন না কৃষক। টানা তিন বছর ধরে তাদের এই দুর্ভোগ লাঘবে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে আবেদন করেও প্রতিকার পাননি বলে দাবি করেন কৃষকরা। এই সমস্যার দ্রুত সমাধান চান তারা।
এ বিষয়ে কৃষক আরশদ আলী বলেন, ‘প্রতি বছর এভাবে ফসল নষ্ট হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসনের কাছের ধরনা দিয়েও প্রতিকার পাননি তারা।’
আরও পড়ুন: রাতভর বৃষ্টি: রাজধানীর অধিকাংশ সড়কে জলাবদ্ধতা, পদে পদে ভোগান্তি
কৃষক রশিদ বলেন, ‘কয়েক হাজার মানুষ এই সাতটি পুকুরের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। অথচ প্রতিকার করার কেউ নেই।’
সাত দখলদারদের মধ্যে পাকিশা ব্রিজ থেকে দখল করে পুকুর স্থাপনকারী মশিউর রহমান বলেন, ‘অন্যরাও খাল দখল করে পুকুর বানিয়েছেন। তিনিও দখল করেছেন। অন্যদের পুকুর দখলমুক্ত হলে তার পুকুরও দখলমুক্ত করতে আপত্তি নেই।’
বিএডিসির সিংড়া জোনের সরকারী প্রকৌশলী মানিক রতন বলেন, জায়গা নিয়ে জটিলতার কারণে এক কিলোমিটার খাল খনন করা সম্ভব হয়নি। ফলে এই দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। খালটি দখলমুক্ত করতে পারলে খনন করা হবে বলে জানান তিনি।
সিংড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘পুকুরগুলো অপসারণ ও সমস্যা সমাধানে ঘটনাস্থলে নিজে সরেজমিনে যাবেন তিনি।পরিদর্শন করে কৃষকদের দুর্ভোগ নিরসনে পদক্ষেপ নেবেন বলে জানান তিনি।