বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকাল ১০টায় রামু উপজেলার রশিদনগর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আদর্শগ্রাম সংলগ্ন রেললাইনের পাশে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত শওকত ওসমান (২৩) কক্সবাজার সদর উপজেলার ভারুয়াখালী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আদর্শগ্রামের মৃত হামিদ হোছনের ছেলে। তিনি পেশায় টাইলস মিস্ত্রি।
পুলিশ জানায়, শওকত ওসমান কক্সবাজার শহরে টাইলসের মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করতেন। ভাইদের থেকে আলাদা হয়ে মাকে নিয়ে তিনি বসবাস করতেন। তার অপর দুই ভাই সাইফুল ও কাউসার গ্রামে সম্প্রতি নতুন বাড়ি তৈরি করে বসবাস শুরু করেন। নতুন বাড়ির মালিকানা ও ভোগদখল নিয়ে দুই ভাইয়ের সঙ্গে শওকত ওসমানের বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে শওকতের সঙ্গে তার ভাইদের মধ্যে এরআগে কয়েকবার তর্কাতর্কি ও হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে।
বৃহস্পতিবার সকালে শওকত স্থানীয় স্টেশনের জনৈক শামসুর দোকানে চা পান করতে যান। একপর্যায়ে বিরোধে থাকা ভাই সাইফুল ও কাউসার অতর্কিতভাবে তার ওপর হামলা চালায়। পরে তাকে টেনে হিঁচড়ে স্থানীয় রেললাইনের পাশে নিয়ে যায়। এরপর দুই ভাই মিলে শওকত ওসমানকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাহত করার পাশাপাশি হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে। পরে তাকে সেখানে ফেলে রেখে হামলাকারী ভাইয়েরা পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: জমি নিয়ে বিরোধে চাচাতো ভাইয়ের হাতে প্রাণ গেল যুবকের
স্থানীয়দের বরাতে রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৈয়বুর রহমান বলেন, ‘ঘটনার পর খবর পেয়ে স্বজনরা আহত অবস্থায় শওকত ওসমানকে উদ্ধার করে রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এ সময় হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনার পর থেকে হামলাকারীরা পলাতক রয়েছে। প্রাথমিকভাবে নতুন নির্মিত বাড়ির মালিকানা ও ভোগদখল নিয়ে ভাইদের মধ্যে বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ তথ্য পেয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে।’
মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।