সোমবার (১৪ জুলাই) বিকেলে বাড়ির পেছন থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পরিবার জানায়, ৯ জুলাই পাশের বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বেড়িয়েছিল নাবা। এরপর থেকেই আর খোঁজ মেলেনি তার। এ ঘটনার ৫ দিন পর সোমবার বাড়ির পাশে বস্তাবন্দি কিছু একটা পড়ে থাকতে দেখেন চাচা কুদ্দুস মিয়া। পরে বস্তা খুলতেই হাতমুখ বাঁধা অবস্থায় নাবিলার মরদেহ বেরিয়ে আসে।

নিহতের মা খাদিজা বেগম বলেন, ‘আমরা এলাকায় মাইকিং করেছি, প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি কিন্তু কোনো সুখবর পাইনি। আজ বীভৎস অবস্থায় মরদেহটি পাওয়া গেছে। আমাদের ধারণা প্রতিবেশী কেউ এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। এ ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে কৃষি জমি থেকে কৃষকের মরদেহ উদ্ধার
এদিকে নাবিলার মরদেহ উদ্ধারের খবরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকাজুড়ে। মরদেহের বীভৎসতা দেখে হতবাক এলাকাবাসীও। জানা গেছে, বাবা বিদেশ থাকায় দুই কন্যা শিশুকে নিয়ে গাজীপুরের ধীরাশ্রমে বসবাস খাদিজা বেগমের। নাবিলা ছিল তাদের প্রথম সন্তান। এলাকাবাসীর প্রশ্ন, অবুঝ শিশুরও কি শত্রু হয়?
গাজীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান বলেন, ‘মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে দেখে মনে হচ্ছে মেয়েটিকে কেউ হত্যা করেছে। তদন্ত করে জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।’