বাহারি মধুফলে ভরপুর বাজার, দাম কেমন?

১০ ঘন্টা আগে
শুরু হয়েছে মধুমাস। মধুফলে ভরপুর হয়ে উঠেছে বাজার। আম-জাম-কাঁঠাল-কলা-লিচু-জামরুল; কী নেই বাজারে। চারদিকে এখন রসালো ফলের মৌ মৌ গন্ধ। বেচাকেনাও চলছে হরদম।

রাজধানীর সদরঘাট, বাদামতলী, শ্যামবাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, জ্যৈষ্ঠের শুরুতেই রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ভরে উঠেছে মৌসুমি ফলে। আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, তালের শাঁস জামরুলসহ বিভিন্ন ফলের গন্ধে মুখর রাজধানীর আড়ত ও বাজারগুলো।

 

ক্রেতাদের সমাগমে ব্যস্ত সময় কাটছে ফল বিক্রেতাদের। কেউ বসে আছেন লিচু নিয়ে, কারও সামনে কাঁঠালের স্তূপ, কেউবা আম-আনারসের পসরা সাজিয়ে বসেছেন। বিক্রেতারা জানান, বাজারে উঠতে শুরু করেছে মৌসুমি ফল। আগামী এক মাস থেকে দেড় মাস বাজারে এসব ফলের ব্যাপক চাহিদা থাকবে। বেচাকেনাও হবে জমজমাট।

 

আরও পড়ুন: তাজা ফল আমদানিতে শুল্ক-কর কমলো

 

বাজারে বিক্রি হচ্ছে হিমসাগর, গোবিন্দভোগ, গোপালভোগ ও গুটি জাতের আম। বিক্রেতা ফরিদুল হক জানান, সবেমাত্র আম উঠতে শুরু করেছে। তাই চাহিদাও বেশি। দাম তুলনামূলকভাবে কমই আছে। এখন সাতক্ষীরার আম বেশি আসছে।

 

 

এসব আম আগামী ১০-১৫ দিন বাজারে থাকবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এরপর অন্যান্য জাতের আম এলে এগুলো চাহিদা ও জোগান কমতে থাকবে। বর্তমানে প্রতি কেজি গুটি আম ৮০ টাকা, গোবিন্দভোগ ১০০ টাকা, গোপালভোগ ১০০ টাকা ও হিমসাগর বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকায়।

 

বাজারে উঠেছে লিচুও। তবে দাম বেশ চড়া। জাত ও আকারভেদে একশ লিচু ৩০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হতে দেখা গেছে। ব্যবসায়ীরা জানান, মৌসুমে প্রথম আসায় দাম একটু বেশিই।

 

 

রাজধানীর বাদামতলীর ফল বিক্রেতা ইসমাইল হোসেন শেখ বলেন, বাজারে এখনও পুরোদমে লিচু আসেনি। যাও এসেছে সেটিও আকারে বেশ ছোট। তবে চাহিদা আছে বেশ।

 

 

তিনি আরও বলেন, এখন রাজশাহীর বোম্বে ও ঠাকুরগাঁওয়ের দেলোয়ারি লিচু বাজারে আসছে। ঠাকুরগাঁওয়ের একশ দেলোয়ারি লিচু ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা ও রাজশাহীর একশ বোম্বে লিচু ৪৫০ থেকে ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রাজশাহী, দিনাজপুরসহ বিভিন্ন জেলার লিচু বাজারে আসলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই দাম কমে আসবে।

 

শুধু আম লিচুই নয়। বাজারে উঠেছে কালোজাম, কাঁঠাল, আমরুজ ও আরও বাহারী সব ফল। প্রতিকেজি কালোজাম বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়।

 

 

 

 

তাল ৩০ টাকা, প্রতিকেজি লাল আমরুজ ২০০ টাকা, সাদা আমরুজ ৮০ টাকা ও আনারস ৩০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

 

 

 

তবে কাঁঠাল এখনও তেমন না উঠলেও মান ও আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন দামে। বিক্রি হচ্ছে ১২০-৩৫০ টাকা পর্যন্ত।

 

অন্যান্য ফলের মধ্যে মানভেদে ডালিম ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, সাদা আঙুর ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, কালো আঙুর ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা, মাল্টা ২০০ থেকে ৩০০ টাকায় ও আপেল ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

 

রাজধানীর সদরঘাটের খুচরা ফল বিক্রেতা সুমন মোল্লা বলেন, এই সময়টাতে সব ফল একসঙ্গে বাজারে আসে। তবে মৌসুমের শুরুতে হওয়ায় কিছু কিছু ফলের দাম একটু বেশিই। এতে ক্রেতারা দর-কষাকষি বেশি করছেন।

 

 

ক্রেতা তাহমিনা শারমিন বলেন, বাজারে মৌসুমের প্রথম ফল ওঠায় বাচ্চাদের জন্য লিচু আর আম কিনলাম। বাজারে ফল অনেক, কিন্তু দাম বেশি।

 

আরেক ক্রেতা শাফায়েত করিম বলেন, বাজার ফলে ভরে উঠেছে। মধুমাস চলে এসেছে। ফলের গন্ধে চারদিক মৌ মৌ করছে। তবে শুরুর দিকে হওয়ায় দাম চড়া।

 

আরও পড়ুন: আমের খোসা খাওয়া কি নিরাপদ?

 

এদিকে বাজারের পাশাপাশি নগরীর প্রায় প্রতিটি পাড়া-মহল্লা ও ফুটপাতে ভ্যানে করেও মৌসুমি এসব ফল বিক্রি করছেন ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা।

 

 

তবে বাজারের চেয়ে এসব ভ্যানে ফলের দাম তুলনামূলক কম। ব্যবসায়ীরা জানান, ভ্যানে বিক্রি করলে দোকান ভাড়া দিতে হয় না, বিদ্যুৎসহ অন্যান্য খরচও নেই। তাই কিছুটা কম দামে বিক্রি করা যায়।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন