বাস্তব যুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছি, ইসরাইল ফের আক্রমণ করলে পরিণতি ভয়াবহ

২ সপ্তাহ আগে
ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধিকরণ নিয়ে ইরান কোনো দরকষাকষিতে রাজি নয় বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি। এছাড়া ইসরাইল থেকে ভবিষ্যতে কোনো হামলা হলে এর পরিমাণ ভয়াবহ হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধিকরণ থামাবে না তেহরান। এ নিয়ে কোনো সমঝোতা করতে ইচ্ছুক নয় বলেও জানান তিনি।

 

আব্বাস আরাঘচি বলেন, আমরা যেকোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত এবং ইহুদিবাদী ইসরাইলের কাছ থেকে ফের হামলার অপেক্ষায় আছি। আমরা সকল স্তরে প্রস্তুতির শীর্ষে রয়েছি এবং ভবিষ্যতের যেকোনো যুদ্ধে ইসরাইল আরেকটি পরাজয়ের সম্মুখীন হবে।

 

তিনি বলেন, সাম্প্রতিক যুদ্ধ থেকে আমরা অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি এবং বাস্তব যুদ্ধে আমাদের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছি। যদি ইসরাইল ফের আক্রমণ করে তাহলে এর জন্য তাদেরকে ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে।

 

ইসরাইলের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়েও মন্তব্য করেন আরাঘাচি। মার্কিন হামলায় পারমাণবিক স্থাপনার ক্ষতি হলেও ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধিকরণ প্রযুক্তি অক্ষত রয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। এছাড়া, যেসব স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে সেখানেই পারমাণবিক উপাদান সুরক্ষিত আছে বলেও জানান আরাঘচি।

 

আরও পড়ুন: ট্রাম্পের পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার নির্দেশে ইরানের কড়া প্রতিক্রিয়া

 

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প তিন দশক পর প্রথমবারের মতো পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন, যা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তেহরান। এ পদক্ষেপকে ‘বিপরীতমুখী ও দায়িত্বজ্ঞানহীন’ আখ্যা দিয়ে আরাঘচি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের কর্মসূচিকে দোষারোপ করলেও নিজেই পারমাণবিক পরীক্ষা চালিয়ে নাটক করছে।

 

ইরান কোনো পশ্চিমা চাপের কাছে নত হবে না বলেও মন্তব্য করেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে সরাসরি আলোচনায় না বসতে চাইলেও পরোক্ষ আলোচনার দরজা খোলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

 

এমন অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানকে আবারো আলোচনায় ফেরার আহ্বান জনিয়েছে ওমান। এর আগে একাধিক দফা ওয়াশিংটন-তেহরান পরমাণু আলোচনার আয়োজন করেছিল মাস্কাট।

 

আরও পড়ুন: ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে এমন কোনো প্রমাণ নেই: আইএইএ প্রধান

 

যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে পরমাণু বিষয়ক আলোচনা চলাকালীন গেল জুন মাসে তেহরানে হামলা চালায় ইসরাইল। চলমান সংঘাতের মধ্যেই ইরানের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পারমাণবিক স্থাপনা ধ্বংসের চেষ্টা করে যুক্তরাষ্ট্র।

 

এরপর থেকে ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে চলা আলোচনা পুরোপুরি ভেস্তে যায়। এর ফলাফল হিসেবে একদিকে ইরানের উপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা জারি হয়, অন্যদিকে তেহরান পুরোদমে তাদের পারমাণবিক কার্যকলাপ পরিচালনা করতে থাকে।

 

তথ্যসূত্র: মেহের নিউজ এজেন্সি

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন