বিরল রোগ এলবিনেজমে আক্রান্ত আফিয়াকে নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সময় টেলিভিশনে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। ওই প্রতিবেদনে আলোচনায় উঠে আসে আফিয়ার বাবার স্বীকৃতিবঞ্চিত হওয়া ও তাদের মানবেতর জীবনযাপনের কথা। এরপর শনিবার (১৫ নভেম্বর) যশোর পুলিশের পক্ষ থেকে আফিয়ার মা মনিরার সাথে যোগাযোগ করা হয়।
যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি আবুল হাসনাত বলেন, আফিয়াকে আইনি সহায়তা দিতে পুলিশ সুপারের নির্দেশে আমি শনিবার বিকেলে তাদের বাড়িতে যাই। তাদের সাথে কথা বলে রোববার থানায় আসতে বলি। দুপুরে আফিয়াকে সাথে নিয়ে তারমা মনিরা খাতুন থানায় আসেন। আমি তার কাছ থেকে সবিস্তার শুনেছি।
আরও পড়ুন: যশোরে আসামির ছুরিকাঘাতে পুলিশ সদস্য জখম
তিনি আরো বলেন, আফিয়াকে আইনি সহায়তা দিতে লিগ্যাল এইড অফিসে যোগাযোগ করা হয়। সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক ছুটিতে থাকায় আজ আবেদন করা সম্ভব হয়নি।
তিনি বলেন, আগামী ১৯ নভেম্বর শিশু আফিয়া ও তার মাকে যশোর লিগ্যাল এইড অফিসে নিয়ে যাওয়া হবে। আফিয়ার ডিএনএ টেস্টের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে সুপারিশ করা হবে।
আরও পড়ুন: যশোর সিটি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতিকে কুপিয়ে জখম
যশোর সদর উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের বাজুয়াডাঙ্গা গ্রামের শহিদ মোল্লার মেয়ে মনিরা জানিয়েছেন, পাঁচ বছর আগে পারিবারিকভাবে তার বিয়ে হয় ফতেপুর ইউনিয়নের চাঁনপাড়া গ্রামের মজিদ মোল্লার ছেলে মোজাফফর মোল্লার সাথে। বিয়ের দুই বছরের মাথায় জন্ম হয় আফিয়ার। মানুষের স্বাভাবিক গায়ের রঙ নিয়ে জন্মায়নি সে। তার গায়ের রঙ ইউরোপীয়দের মত অতি ফর্সা। যে কারণে পিতা মোজাফফর মেয়ের পিতৃত্ব অস্বীকার করেন। স্ত্রী মনিরাকে তালাক দিয়ে বিদেশে চলে যান। এরপর মনিরা স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেদের সাথে যোগাযোগ করেও কোনো সহায়তা পাননি। এমনকি স্থানীয়ভাবে অনুষ্ঠিত শালিসে প্রতি মাসে দেড় হাজার করে টাকা দেয়ার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন আফিয়ার চাচা তাও বাস্তবায়ন করেননি।
]]>

১১ ঘন্টা আগে
১








Bengali (BD) ·
English (US) ·