হাসিমুখে সুখ বিসর্জন দেয়া সেই বাবা নামের বটবৃক্ষকে আলাদাভাবে স্মরণ করার দিন আজ। তবে বাবাদের জন্য ভালোবাসা প্রতিদিন, প্রতি মুহূর্ত।
রফিক নামে এক রিকশা চালক বলেন, ‘সারাদিন রিকশা চালানোর সময় রাস্তাঘাটে যত কষ্টই লাগুক বাসায় আসলেও তা আর লাগে না। বাচ্চাদের দেখলেই ভালো লাগে।
কুনু মিয়া। বয়স আশি ছুঁই ছুঁই। পানি বিক্রি করে চলে সংসার। থাকেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেট্রোরেল স্টেশনের নিচে। ছয় সন্তানের এই বাবার দিন কাটে একাকীত্বে। অথচ একটা সময় অসুস্থ শরীরের ক্লান্তিকে পাত্তা না দিয়ে সন্তানের হাসির সন্ধানে ছুটে চলেছেন নিরলস। শুধু শেষ বয়সে সন্তানদের সঙ্গে একই ছাদের নিচে থাকার ইচ্ছে ছিল তার।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে কুনু মিয়া বলেন, ‘ছেলে মেয়েরা বিয়ে করে আলাদা থাকে। আমার দেখাশোনা কেউ করে না। মেট্রোরেল স্টেশনের নিচে থাকি, ঘুমাই।’
সন্তানের একটু সুখের জন্য, শত কষ্ট, শত অভাবের মাঝেও যে কোনো বায়না পূরণে দিনরাত হাড়ভাঙা পরিশ্রম করেন বাবা। ভীষণ-দায়িত্ব কর্তব্যের গল্প লুকিয়ে আছে এই শব্দটায়। যে মানুষটির আঙুল ধরে সন্তানের প্রথম হাঁটতে শেখায়, বৃদ্ধ বয়সে সেই বাবার ঠাঁই বৃদ্ধাশ্রমে! মস্ত অফিসার ছেলের মস্ত বাড়িতে স্থান হয় না অনেকের।
আরও পড়ুন: বাবা- মেয়ে হয়ে আসছেন আবুল হায়াত ও রিচি সোলায়মান
জহির নামের এক বৃদ্ধ বলেন, ‘যতই কষ্ট দিক সন্তানদের প্রতি কোনো বাবা-মা বদদোয়া দেয় না। সার্বক্ষণিক দোয়া করতে থাকে আসবে একদিন আসবে, আমার ছেলে আমাকে নিতে আসবে।’
যদিও বাবাকে হারানোর কষ্টে অনন্ত শূন্যতার গল্পও আছে অনেক পরিবারে। স্মৃতি নামের এক তরুণী বলেন, ‘আমাদের যাদের বাবা নেই, তারা বুঝি বাবা না থাকার কষ্ট কতটুকু। বাবা একটা বটগাছের মত।’
বাবা নিয়ে যত কথা, যত স্মৃতি, কয়েক কোটি শব্দ দিয়েও তা পূরণ হওয়ার নয়। বাবার প্রতি ভালোবাসা, প্রতিটি দিন, প্রতিটি ক্ষণ। বাবা... তুমিই বেঁচে থাকার কারণ।
]]>