রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে পূজা উদযাপন উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায় ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে আয়োজিত আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বৈঠকে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
এসময় ৭ উপজেলায় পূজা মণ্ডপের নিরাপত্তা নিশ্চিত ও নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠানের লক্ষে বিভিন্ন পূজা মণ্ডপের
প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়। এসময় প্রতিটি মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা, স্বেচ্ছাসেবক দল গঠন, আজানের সময় মাইক বন্ধ রাখাসহ বিভিন্ন বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেয়া হয়।
মন্দির কমিটির আহ্বায়ক নিখিল কান্তি দাশ বলেন, ‘পূজা শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনে আমরা সব রকম ব্যবস্থা নিয়েছি। সামনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। নির্বাচনী একটা আমেজ বিরাজ করবে। সব রাজনৈতিক দল আমাদের সহায়তা করবে আশা করি।’
আরও পড়ুন: মণ্ডপ পাহারায় বুধবার থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন থাকবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাওছার বলেন, ‘পূজা শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষে আমরা তৎপর রয়েছি। গোয়েন্দা সংস্থা সজাগ রয়েছে যেকোনো ধরনের সমস্যায় কুইক রেসপন্স করার জন্য মোবাইল টিম রেডি থাকবে। যেকোনো সমস্যায় পুলিশ পাশে থাকবে, যাতে শান্তিপূর্ণভাবে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ পূজা উদযাপন করতে পারে। সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সব ধর্মের এবং সব রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা কামনা করি।’
বান্দরবান জেলার পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাওছারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মুজিবুর রশীদ জসিম উদ্দীন, জামায়াত ইসলামীর বান্দরবান জেলার নায়েবে আমির এ্যাড মোহাম্মদ আবুল কালাম, নাগরিক পার্টির প্রতিনিধি আবুল কালাম, কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব আলাউদ্দীন ইমামী, বাজার মসজিদের খতিব এহসানুল হক আল মইন, প্রেস ক্লাবের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্চুসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিভিন্ন পূজা মণ্ডপের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য ৩২ টি পূজা মণ্ডপের মধ্যে সদরে ১১টি লামা উপজেলায় ৮ টি আলিকদমে ৫ টি নাইক্ষ্যংছড়িতে ৪ টি থানচি ২ টি রুমা ১ টি ও রোয়াংছড়িতে ১ টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।