বান্দরবানে বাড়ছে আখ চাষ

৩ সপ্তাহ আগে
পার্বত্য জেলা বান্দরবানে বাড়ছে আখ চাষ। তামাক চাষের পরিবর্তে আখ চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা। শুধু তাই নয়, আখ থেকে গুড় উৎপাদন করেও আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন অনেকে।

সরেজমিনে দেখা যায়, বান্দরবানের রুমা, রোয়াংছড়ি, লামা ও আলীকদম উপজেলার বিভিন্ন সমতল জায়গায় বাড়ছে আখ চাষ। সিও ২০৮, রং বিলাস, অমৃতসহ নানা জাতের আখ চাষ হচ্ছে। এতে একদিকে বাড়ছে আবাদী জমির পরিমাণ, অন্যদিকে তামাকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা পাচ্ছেন কৃষকরা।

 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এক সময় যেসব জমিতে তামাক চাষ হত, সেসব জমিতেই এখন আখ চাষ করে ভাগ্য বদলের চেষ্টা করছেন পাহাড়ের কৃষকরা। শুধু আখ চাষই নয়, সেই আখ থেকে আবার গুড়ও উৎপাদন করছেন অনেকে। এতে একদিকে বাড়ছে আবাদী জমির পরিমাণ, অন্যদিকে তামাকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা পাচ্ছেন কৃষকরা।

 

জানা যায়, পাহাড়ে উৎপাদিত আখের গুণগতমান ভালো ও খেতে সুস্বাদু হওয়ায় বাজারে এর চাহিদাও রয়েছে ব্যাপক। প্রতিটি আখ বাজারে বিক্রি হয় ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। তাই স্বল্প মূলধন ও কম পরিশ্রমে অধিক ফলন হওয়ায় সফলতার মুখ দেখছেন প্রান্তিক পর্যায়ের চাষীরা। 

 

আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে রোপা আমনে মাজরা পোকার আক্রমণ, ফলন নিয়ে শঙ্কা

 

স্থানীয় আখ চাষী সাহাব উদ্দীন বলেন, 

আমি এক একর জায়গায় আখের চাষ করেছি। ফলনও ভালো হয়েছে। আশা করি ভালো দামে বিক্রি করতে পারবো। ইক্ষু গবেষণা থেকে আমাদের বীজ দেয়া হয়েছে, সার দেয়া হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এ কারণে ফলন নষ্ট হয়নি। সবগুলোই পরিপূর্ণ হয়েছে।

 

আরেক চাষী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আগে তামাক চাষ করতাম। এখন সেই জায়গায় আখ চাষ করেছি। ভালো ফলন হয়েছে। বিক্রি করলে আশা করি লাভের মুখ দেখবো।’

 

এ বিষয়ে বান্দরবান ইক্ষু গবেষণা ইনিস্টিটিউটের কনসালটেন্ট কৃষিবিদ ক্য ছেন মার্মা বলেন, 

তামাক চাষের পরিবর্তে ইক্ষু চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়াতে সব ধরনের সহায়তা দেয়া হয়েছে। কৃষকদেরও আখ চাষে আগ্রহ বাড়ছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর উৎপাদনও ভালো হয়েছে।

 

আরও পড়ুন: তীব্র স্রোতে ভেঙে গেল ব্রিজ, ৭০০ বিঘা জমির ফসল নিয়ে শঙ্কা

 

তিনি আরও জানান, চলতি বছর জেলায় ৬৫০ হেক্টর জমিতে আখের আবাদ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ৪ হাজার মেট্রিক টন।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন