বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ ও মোকাবিলায় সমন্বয় সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল করিম এ তথ্য তুলে ধরেন।
তিনি জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত সহিংসতার শিকারদের মধ্যে রয়েছেন ১৭৬ জন বিবাহিত নারী, ৩৯ জন অবিবাহিত, ৪৫ জন বয়স্ক নারী। এসব ঘটনায় বিভিন্ন থানায় মাত্র ২৯টি মামলার রেকর্ড হয়েছে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে চারটি রাবার বাগান ও কারখানায় লুটপাট
এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত মানবাধিকার কর্মী ডনাইপ্রু নিলি বলেন, নারী সহিংসতার ঘটনায় মামলা করার আগে প্রথমে ভুক্তভোগীকে চিকিৎসা ও মানসিক সাপোর্ট দেওয়া জরুরি। কারণ এ ধরনের ঘটনার পর ভুক্তভোগী নারী একটা ট্রমার মধ্য দিয়ে যায়। তাই অনেক সময় ভুক্তভোগী নারী কথা বলতে চায় না। তাদেরকে কাউন্সিলিং এর মাধ্যমে স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে আনতে হবে।
নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী সার্ভিস ডেস্কের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নিলুফা জানান, পাহাড়ি নারীদের ক্ষেত্রে ভাষাগত প্রতিবন্ধকতার কারণে আইনি সহায়তা প্রদানে অনেক সময় সমস্যা হয়।
পুলিশ সুপার মো. শহিদুল্লাহ কাওছার কর্মশালায় বলেন, নারী সহিংসতার প্রতিটি ঘটনায় পুলিশ কাজ করছে। তবে দুর্গম এলাকায় স্থানীয়দের সহযোগিতা কম পাওয়া যায়। অনেক সময় স্থানীয় কারবারি, হেডম্যানরাও ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। এমনকি ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধও সামাজিক শালিসির মাধ্যমে সামান্য অর্থদণ্ডে মীমাংসা করার চেষ্টা হয়।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে অ্যাসিড দিয়ে স্ত্রীকে হত্যায় যুবক গ্রেফতার
তিনি আরও বলেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অনেকেই আইনি পদক্ষেপ নিতে অনীহা প্রকাশ করেন। ফলে অপরাধীদের যথাযথ আইনের আওতায় আনা কঠিন হয়ে পড়ে।
ইউএনএফপিএ এর সহযোগিতায় আয়োজিত এ কর্মশালায় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল করিম, দুর্নীতি দমন প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি অংচমং মার্মা, মানবাধিকার কর্মী ডনাইপ্রু নিলি, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এন এ জাকির বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানসহ সাত উপজেলার পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।