সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ রেলওয়ে এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।
গত ২৮ জানুয়ারি অনিবার্য কারণে ট্রেন চলাচল স্থগিত থাকায় যেসব ট্রেন সম্পূর্ণ চলাচল করেনি, ওই দিনের ট্রেনের টিকিট আজ থেকে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রিফান্ড করা যাবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, গত ২৮ জানুয়ারি অনিবার্য কারণে ট্রেন চলাচল স্থগিত থাকায়, যেসব ট্রেন সম্পূর্ণ চলাচল করেনি, সেসব ট্রেনের টিকিট রিফান্ডের ক্ষেত্রে যাত্রীদের করণীয়-১০ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টিকিটগুলো রিফান্ড করা যাবে। যেসব যাত্রী ইন্টারনেটের মাধ্যমে (রেল সেবা অ্যাপস ও ওয়েবসাইট) টিকিট ক্রয় করেছিলেন তারা ইন্টারনেটের মাধ্যমে এবং যারা স্টেশন কাউন্টার থেকে টিকিট ক্রয় করেছিলেন তারা স্টেশন কাউন্টারের মাধ্যমে ক্রয় করা টিকিট, পিন বা ওটিপি প্রদর্শন করে রিফান্ড করতে পারবেন। পিনের জন্য টিকিট ক্রয়ে ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি সঙ্গে রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: ট্রেনের টিকিট কাটায় রেলওয়ের নতুন নির্দেশনা
জানা যায়, গত ১ জানুয়ারি ঘোষণা করা হয়, ২৮ জানুয়ারি থেকে ট্রেন চালাবেন না বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফরা। তারই পরিপ্রেক্ষিতে গত সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দিনগত রাত থেকে সাড়ে ২৬ ঘণ্টা ট্রেনে ওঠেননি রেলওয়ের রানিং স্টাফরা।
বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফদের আন্দোলনের কারণে গত ২৭ জানুয়ারি সারা দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। এই পরিস্থিতিতে, যেসব ট্রেনের যাত্রা বাতিল হয়, সেসব ট্রেনের টিকিটের টাকা যাত্রীদের ফেরত দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এ বিষয়ে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার মো. সাজেদুল ইসলাম জানান, এ রিফান্ড শুধু পুরনো টিকিটের জন্য প্রযোজ্য, এবং পূর্ববর্তী টিকিট দিয়ে নতুন যাত্রা করা যাবে না।
আরও পড়ুন: রেলের ২ স্টেশনের নাম পরিবর্তন
উল্লেখ্য, কর্মচারীদের অবসরোত্তর ৭৫ শতাংশ মাইলেজ মূল বেতনের সঙ্গে যোগ করে পেনশন নির্ধারণের বিধান প্রায় ১৬২ বছর ধরে চলমান ছিল। কিন্তু ২০২০ সালে রেলওয়ের কোডিফাইড রুল অমান্য করে রানিং স্টাফদের পার্ট অব পে হিসেবে গণ্য মাইলেজ, যা যুগ যুগ ধরে বেতন খাতের অংশ ছিল। সেখান থেকে সরিয়ে টিএ খাতে নেয়ার ফলে জটিলতা তৈরি হয়। এরপর ২০২১ সালের ৩ নভেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ রেলওয়ের রানিং স্টাফদের মাইলেজ যোগ করে পেনশন ও আনুতোষিক সুবিধা দেয়ার বিষয়ে আপত্তি জানায়।
২০২২ সালের ৪ এপ্রিল অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ১০ এপ্রিল রানিং স্টাফদের কর্মবিরতিতে সারা দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে অর্থ মন্ত্রণালয় ১৩ এপ্রিল চিঠিটি প্রত্যাহার করে নেয়। পরে তৎকালীন রেলমন্ত্রী ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে এ সমস্যা দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেন। গত বছরের ৯ ডিসেম্বর রেলপথ মন্ত্রণালয়ে ১০ দিন সময় চাইলে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেয় বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফ ও কর্মচারী শ্রমিক ইউনিয়ন।