বাণিজ্য ইস্যুতে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের বৈঠকে হতে পারে মালয়েশিয়ায়

৪ সপ্তাহ আগে
বাণিজ্য ইস্যুতে এবার সরাসরি আলোচনায় বসতে যাচ্ছে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র। আগামী সপ্তাহে মালয়েশিয়ায় এ বৈঠক হতে পারে বলে জানিয়েছেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট।

গেল সপ্তাহে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানায়, বিরল খনিজ রফতানিতে নতুন সীমাবদ্ধতা কার্যকর হচ্ছে, যা সরকারি অনুমোদন ছাড়া রফতানি করা যাবে না। এমনকি ক্ষুদ্র উপাদানেও বিরল খনিজ থাকলে তা ঘোষণা ও ব্যবহারের উদ্দেশ্য জানাতে হবে। এতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে স্বাক্ষরিত অস্থায়ী শুল্কবিরতি কার্যত নড়ে গেছে। 

 

এমন সিদ্ধান্তের পরই নভেম্বরের শুরু থেকে চীনা পণ্যে ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।

 

এবার দুই দেশের বাণিজ্যযুদ্ধ বন্ধে আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক। আলোচনার জন্য বেছে নেয়া হয়েছে মালয়েশিয়াকে। এর আগে ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, খুব শিগগিরিই দক্ষিণ কোরিয়ায় চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ নির্ধারিত আছে। 

 

আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘শেষ পর্যন্ত লড়াই’ করার হুঁশিয়ারি চীনের

 

বিবিসির এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য উত্তেজনায় নতুন মোড় এনে ট্রাম্পের দুর্বল জায়গায় আঘাত হেনেছে চীন। দুর্লভ খনিজ প্রক্রিয়াজাতকরণে চীনের প্রায় একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ রয়েছে, যা এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান, স্মার্টফোন, যুদ্ধবিমান, সৌর প্যানেল, বৈদ্যুতিক গাড়ি ও সামরিক সরঞ্জাম তৈরিতে অপরিহার্য। 

 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিষেধাজ্ঞা দেয়ার জন্য এই সময়টা বেইজিং ইচ্ছাকৃতভাবে বেছে নিয়েছে।

 

রেয়ার আর্থ চীনের ১৮ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে মাত্র শূন্য দশমিক এক শতাংশ জায়গা দখল করে। কিন্তু কৌশলগত দিক থেকে এর মূল্য অপরিসীম। বেইজিং এখন যে কৌশল নিয়েছে, তা মূলত আসন্ন ট্রাম্প-শি সাক্ষাতের পূর্বপ্রস্তুতি। 

 

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতি চীনের উৎপাদন খাতে চাপ ফেললেও, বিরল খনিজ রফতানি বন্ধ হলে থেমে যেতে পারে গোটা বিশ্ব শিল্প-শৃঙ্খল, যা বেইজিংয়ের জন্য সবচেয়ে বড় কূটনৈতিক হাতিয়ার বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন