সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টার দিকে বাড্ডা কাঠালদিয়া, বসুন্ধরার গেটের বিপরীত পাশ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
নিহতের শ্যালক মো. সেলিম জানান, কাজলের বাড়ি নেত্রকোনার দূর্গাপুর উপজেলায়। তিনি থাকতেন ভাটারার ফাসেরটেক এলাকায়। তিন সন্তান ও স্ত্রী গ্রামে থাকেন। ঢাকায় ভাড়ায় অটোরিকশা চালান মাসুদ।
তিনি জানান, রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নতুনবাজার এলাকার গ্যারেজ থেকে রিকশা নিয়ে বের হয়েছিলেন মাসুদ। এরপর আর বাসায় ফিরেনি। রাতে দুই যুবক তার রিকশা নিয়ে বিক্রির জন্য ওই একই গ্যারেজে গেলে গ্যারেজ মালিক (নারী) নিজের রিকশা দেখে চিনে ফেলেন। তখন তাদের কাছে জানতে চান, ওই রিকশার চালক মাসুদ কোথায়? তখন তারা কোন উত্তর দিতে পারে না। রিকশাটি তাদের নিজের বলে দাবি করে। তখন গ্যারেজ মালিকসহ স্থানীয়রা তাদের দুজনকে আটকে থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারেন, বাড্ডার কাঠালদিয়া, বসুন্ধরা গেটের বিপরীত পাশে রিকশাচালককে মেরে ফেলে রেখে এসেছে। পরবর্তীতে সোমবার বেলা ১২টার দিকে সেখান থেকে মাসুদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: যাত্রীবেশে অটোরিকশা ছিনতাই, চক্রের ৬ সদস্য গ্রেফতার
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, রিকশা চালককে খুনের পর রিকশা বিক্রি করতে গিয়ে ধরা পড়ে দুই ঘাতক। তাদের দেখানো মতেই মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় একটি হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন। বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।