কুষ্টিয়ায় মেলা নিয়ে জামায়াত-বিএনপির সংঘর্ষে আহত ১১

৫ ঘন্টা আগে
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের হোগলা চাপাইগাছি বাজারে ঐতিহ্যবাহী গাজীকালু-চম্পাবতী মেলা বসানোকে কেন্দ্র করে জামায়াত ও বিএনপির কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১১ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (২০ মে) সন্ধ্যায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও দেশীয় অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।


জামায়াতের আহতরা হলেন - জগন্নাথপুর ইউনিয়ন উলামা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও মহেন্দ্রপুর আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান, জামায়াতের কর্মী কুদ্দুস প্রামাণিক (৭০), শহিদুলের ছেলে তুহিন হোসেন, আক্কাস আলীর ছেলে জিহাদ হোসেন, সুকচাদের ছেলে জামাত আলী, জালালের ছেলে ইউনুস আলী। তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।


বিএনপির আহতরা হলেন - খোকসা সরকারি কলেজের প্রভাষক সরাফাত সুলতান, বাঁখই মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক টিপু সুলতান, গফুর শেখের ছেলে সুকুর শেখ, আজিজলের ছেলে শরীফ, আসাকুর রহমান। তারা বিএনপির কর্মী-সমর্থক। তারা কুষ্টিয়া সদর হাসপাতাল ও বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গেছে।


প্রায় দেড় শত বছর ধরে হোগলা চাপাইগাছি বাজারে ঐতিহ্যবাহী এই মেলার আয়োজন হয়ে আসছে। তবে চলতি বছরে প্রশাসনের অনুমতি না পাওয়ায় মেলা আয়োজন নিয়ে বিরোধ তৈরি হয়।


জামায়াত নেতারা মেলায় অশ্লীলতা ও জুয়ার অভিযোগ তুলে বন্ধের দাবি করেন। অপরদিকে, বিএনপি সমর্থিত মেলা কমিটি মেলা চালু রাখার পক্ষে থাকায় দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছে।


জগন্নাথপুর ইউনিয়ন উলামা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান বলেন, মেলায় অশ্লীল কর্মকাণ্ড ও জুয়ার আসর বসানো হয়। সেজন্য প্রশাসন অনুমতি দেননি। তবুও বিএনপি ও মেলা কমিটি মেলার আয়োজন করেছেন। আমরা মেলার বিষয় জানতে গেলে প্রতিপক্ষরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছেন। আমিসহ আমাদের অনেকেই আহত হয়েছেন। থানায় মামলা করা হবে।


আরও পড়ুন: নাটোরে আমপাড়ার দ্বন্দ্বে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষ, গুলিবর্ষণ


তবে অভিযোগ অস্বীকার করে বিএনপির সমর্থক ও খোকসা সরকারি কলেজের প্রভাষক সরাফাত সুলতান বলেন, জামায়াতের শত শত লোকজন আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। দোকানে ভাঙচুর ও করেছে। বিচারের আশায় থানায় মামলা করব।


জামায়াতের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর আফজাল হোসাইন বলেন, ইসলাম বিরোধী কর্মকাণ্ডে জামায়াতের নেতাকর্মী ও স্থানীয়রা প্রতিবাদ করতে গেলে মেলা কমিটির লোকজন হামলা করেছেন। থানায় মামলা করা হবে।


শতবছর ধরে চলা আসা মেলায় এবার অনুমতি মেলেনি বলে জানিয়েছেন কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলায়মান শেখ। তিনি বলেন, মেলা বসানো নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে বেশ কয়েক জন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এখন এলাকার পরিবেশ শান্ত আছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন