শনিবার (২৭) সেপ্টেম্বর দুপুরে চিলা ইউনিয়নের সিন্দুরতলা জোড়া ব্রিজ এলাকা থেকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় এ হরিণ দুটি উদ্ধার করা হয়। পরে বনরক্ষীরা নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আবার বনে অবমুক্ত করে।
বন বিভাগ জানায়, হরিণ দুটি উপজেলার চিলা ইউনিয়নের সিন্দুরতলা জোড়া ব্রিজ এলাকার একটি চিংড়ি ঘেরের বাগানে আহত অবস্থায় কাতরাচ্ছিল। এ সময় স্থানীয়রা একটি গাছের পাশে হরিণ দুটি দেখে আটক করে বনবিভাগ এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ টিমকে খবর দেয়।
শনিবার দুপুরে বন বিভাগের পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জ কর্মকর্তা দিপন চন্দ্র দাসের নির্দেশে করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির ও বৈদ্যমারী টহল ফাঁড়ির বনরক্ষীরা গিয়ে হরিণ দুটি উদ্ধার করে। করমজল ফরেস্ট অফিসেই উদ্ধার করা আহত হরিণ দুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে তোলা হয়।
দুপুর ১টার দিকে পুনরায় করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের পাশের বনে অবমুক্ত করা হয়েছে বলে জানান প্রাণী বিশেষজ্ঞ হাওলাদার আজাদ কবির।
আরও পড়ুন: মেঘনার জোয়ারে ভেসে এলো চিত্রা হরিণ!
হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, ‘হরিণের আবাসস্থল হচ্ছে বনে, কিন্তু দুইটা সময় এরা বন ছেড়ে লোকালয় চলে আসে। যখন বাঘে আক্রমণ করে তখন কোনো উপায় না পেয়ে লোকালয় ঢুকে পড়ে। আবার সুন্দরবনে এক ধরনের পোকা আছে তাদের আক্রমণেও ঢুকে পরতে পারে। তবে দুইটি হরিণ এক সঙ্গে লোকালয় চলে আসার বিষয়টি সাধারণ মানুষের মনে সন্দেহের দানা বাঁধছে।’
হরিণ দুটিকে উদ্ধার ও অবমুক্ত কাজে বন বিভাগের সহযোগিতায় করমজল বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ হাওলাদার আজাদ কবীর, চাঁদপাই স্টেশনের বনরক্ষীরা, বৈদ্যমারী এবং করমজল বনকর্মী ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
]]>