সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির কো-কনভেনার ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম এই ঘোষণা দেন।
এসময় জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা রেজাউল করিম, নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট আব্দুল ওয়াদুদ এবং জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর রহমান আলমসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম বলেন, ‘আমরা সর্বদা জনগণের পাশে আছি। ধর্মীয় উৎসব সামনে রেখে সাধারণ মানুষের চলাচলে যাতে কোনো সমস্যা না হয়, তাই হরতাল প্রত্যাহার করেছি। তবে আমাদের ন্যায্য দাবি আদায়ে আগামী দুই দিন অর্ধদিবস নির্বাচনী অফিস ঘেরাও অব্যাহত থাকবে।’
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে আবারও তিন দিনের হরতাল
এর আগে বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি রোববার অবস্থান কর্মসূচি এবং সোমবার, মঙ্গলবার ও বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত হরতালের ঘোষণা দেয়।
গত ৩০ জুলাই আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাটের চারটি আসনের মধ্যে একটি আসন কমিয়ে তিনটি করার প্রাথমিক প্রস্তাব দেয়া হয়। এরপর থেকেই বাগেরহাটবাসী আন্দোলনে নেমে আসেন। চারটি আসন বহাল রাখার দাবিতে নির্বাচন কমিশনের শুনানিতে অংশগ্রহণ করা হলেও ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন শুধু সীমানা পরিবর্তন করে তিনটি আসনই চূড়ান্ত গেজেটে প্রকাশ করে। সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির নেতারা দাবি করেন, এটি সাধারণ মানুষের দাবি উপেক্ষা করা হয়েছে।
চূড়ান্ত গেজেট অনুযায়ী বাগেরহাটের আসনগুলো এখন হলো- বাগেরহাট-১ ( বাগেরহাট সদর-চিতলমারী-মোল্লাহাট), বাগেরহাট-২ (ফকিরহাট-রামপাল-মোংলা) ও বাগেরহাট-৩ (কচুয়া-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা)। তবে দীর্ঘদিন ধরে চারটি আসনে নির্বাচন হয়ে আসছিল। তখনকার সীমানা ছিল- বাগেরহাট-১ (চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট), বাগেরহাট-২ (বাগেরহাট সদর-কচুয়া), বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) ও বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা)।
]]>