সোমবার (৩০ জুন) সকালে সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের কচিখালী এলাকার সুখপাড়া খাল সংলগ্ন বনাঞ্চলে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। তবে তার সঙ্গে থাকা আরও দুই শিকারি পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
এ সময় ওই বনাঞ্চলে পেতে রাখা হরিণ শিকারের ৩০০ মালা ফাঁদ ও আটক শিকারির কাছে থাকা ১টি ছুরি, ১টি করাত, ১০০ ফুট প্লাস্টিকের রশিসহ বিভিন্ন মালামাল উদ্ধার করা হয়।
আটক আরিফুল ইসলাম দুলাল বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কোরাইল্যা গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে।
সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘বৃষ্টির মাঝে কাদাপানি উপেক্ষা করে বনের মাঝে পায়ে হেঁটে টহল কালে শরণখোলা স্মার্ট পেট্রোলিং দল সুখপাড়া খাল সংলগ্ন বনাঞ্চল থেকে ওই ব্যক্তিকে আটক করে। সেখানে ফাঁদ পাততে আসা আরও দুজন এ সময় বনের মধ্যে পালিয়ে যায়। তাদের আটক করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে হরিণ শিকারের ৬০০ ফাঁদ জব্দ
আটক আরিফুলের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের স্বীকার করেছে তারা পাথরঘাটার হরিণ শিকারি চক্র নাসির গ্যাংয়ের সদস্য। নাসির বন বিভাগের তালিকাভুক্ত অপরাধী (হরিণ শিকারি)।
ডিএফও মো. রেজাউল করিম আরও বলেন, ‘হরিণ শিকার ও বিষ দিয়ে মাছ ধরাসহ সব ধরনের বনঅপরাধ দমনে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। দুর্গম সুন্দরবনে পায়ে হেঁটে টহল বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। এখানে বাঘ-কুমির, সাপসহ বন্যপ্রাণীর আক্রমণের ঝুঁকি অনেক বেশি। তাঁর মাঝেও আমরা এ ধরণের অভিযান অব্যাহত রেখেছি। ফলে গেল দুই মাসে ৩ হাজারের বেশি হরিণ শিকারের ফাঁদ উদ্ধার হয়েছে।’
সুন্দরবনের বন্যপ্রাণী প্রজনন মৌসুম ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা ১ জুন থেকে বনে প্রবেশ চলছে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা। এই সময়ে বনজীবী, পর্যটকসহ সবারই বনে প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে বন বিভাগ।