রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় বাগেরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ৩ দিনের হরতালের কর্মসুচির ঘোষণা দেয়।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল সন্ধ্যা হরতাল জেলাসহ প্রতিটা উপজেলায় এ হরতাল পালন করবে। পরদিন ৯ আগস্ট প্রতিটা উপজেলায় বিকেল পাঁচটায় বিক্ষোভ মিছিল করবে ১০ ও ১১ সেপ্টেম্বর সকাল সন্ধ্যা হরতাল বাগেরহাট পালন করবে জেলাসহ উপজেলাযগুলোতে।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এস সালাম।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখার দাবিতে ৫ দিনের কর্মসূচি
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাগেরহাট জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা রেজাউল করিম, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অত্র কমিটির সদস্য সচিব শেখ মুহাম্মদ ইউনূস, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক সংসদ মো. মুজিবুর রহমান, বাগেরহাট জেলা বিএনপির সদস্য ব্যারিস্টার জাকির হোসেন, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুল ইসলাম গোড়া, বাগেরহাট জেলার বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক খাদেম নিয়ামুল নাসির আলাপ, বাগেরহাট জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি ফকির তরিকুল ইসলাম, বাগেরহাট জেলা জামায়াতের সূরা সদস্য ও যুব কমিটির সভাপতি মনজুরুল হক রাহাদ, জেলা বিএনপির সদস্য খান মনিরুল ইসলাম, মনিরুল হক ফরাজি, সৈয়দ নাসির আহমেদ মালেক, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ওবায়দুল ইসলাম জুয়েল প্রমুখ।
বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটির কো-কনভেনার এম এ সালাম বলেন, ‘আমাদের এই আসন ফিরে পাওয়ার জন্য আমরা আজ বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল করব, লিফলেট বিতরণ করব।’
বাগেরহাট জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা রেজাউল করিম বলেন, ‘বাংলাদেশ নামক স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেকে বাগেরহাট নানা ধরনের বঞ্চনা ও ক্ষতির শিকার হয়েছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তে যে আঘাত হানা হয়েছে তা পূর্বের সব ক্ষতির সীমা অতিক্রম করেছে। এ সিদ্ধান্ত শুধু অযৌক্তিকই নয়, বরং এটি বাগেরহাটবাসীর প্রতি এক ধরনের শত্রুতার বহিঃপ্রকাশ। আমরা মনে করি ইচ্ছে করেই কমিশন এ জেলাকে অবমূল্যায়ন ও ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছে। নির্বাচন কমিশনকে অবশ্যই বুঝতে হবে এ সিদ্ধান্ত বাগেরহাটের লাখ লাখ মানুষের ন্যায্য অধিকার হরণ করছে। তাই আমরা স্পষ্টভাবে দাবি জানাচ্ছি অবিলম্বে এই অন্যায় সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে বাগেরহাটের চারটি সংসদীয় আসন পুনর্বহাল করতে হবে।’
আরও পড়ুন: গাজীপুরে একটি আসন বাড়ল, কমল বাগেরহাটে
নির্বাচন কমিশন গত ৩০ জুলাই আসন পুনঃনির্ধারণের খসড়া প্রস্তাব দেয়। শুনানি শেষে কমিশন জনমতের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে চার আসন বহাল রাখবে এমন প্রত্যাশায় আন্দোলন থেকে সরে এসেছিল বাগেরহাটবাসী। কিন্তু কমিশন গত ৪ সেপ্টেম্বর প্রজ্ঞাপন জারি করে বাগেরহাটের চারটি আসন কমিয়ে তিনটি আসনে নামিয়ে আনে। এতে জেলার লাখো মানুষের হৃদয় আঘাত হানা হয়েছে বলে দাবি করে বক্তারা।