শনিবার (৭জুন) সন্ধ্যায় বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার চুনখোলা ইউনিয়নের সিংগাঁতি গ্রামের উত্তর পাড়ায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।
তবে ফের সংঘর্ষের আশঙ্কায় ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, মোল্লাহাট উপজেলার চুনখোলা ইউনিয়নের সিংগাঁতি গ্রামের উত্তর পাড়ার মাসুম চৌধুরী ও এরশাদ চৌধুরীর সঙ্গে বংশীয় দ্বন্দ্ব বহু পুরানো। ঈদের দিন বিকেলে মাসুম চৌধুরীর লোকজন কোরবানির মাংস বিতরণ করতে যায়।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ২০
এ সময় এরশাদ চৌধুরীর লোকজন মাসুম চৌধুরীর লোকজনদের সঙ্গে তর্কে জড়ায় জানিয়ে সফিকুল ইসলাম বলেন, পরে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে মাসুম চৌধুরীর লোকজন এরশাদ চৌধুরীর উপর হামলা চালায়। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষ দেশীয় ঢাল সড়কি (দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র) নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এতে নারীসহ কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছেন বলেও জানান ওসি মো. সফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, তাদের উদ্ধার করে বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পার্শ্ববর্তী গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রথমে একই গ্রামের মোশাররফ চৌধুরীর ছেলে আজিজুল চৌধুরী (৪০) মারা যান। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান এরশাদ চৌধুরীর ছেলে মুরসালিন চৌধুরী।
আহতরা সবাই দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে রক্তাক্ত জখম হয়েছেন জানিয়ে তিনি আরও বলেন, পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। নতুন করে যাতে আর কোন সংঘাত হতে না পারে সেজন্য ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সংঘর্ষে জড়িতরা গা ঢাকা দেয়ায় কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
]]>