বাকৃবিতে শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের সঙ্গে উপাচার্যের বৈঠক

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) কম্বাইন্ড ডিগ্রির দাবিতে আন্দোলন ও পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের ঘোষণায় স্থবির ক্যাম্পাস। এই পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চার অনুষদের শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া।

সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে চার অনুষদের শিক্ষার্থী প্রতিনিধিরা বৈঠকে বসেন। বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয় ছিল দ্রুত ক্যাম্পাস খুলে দিয়ে ক্লাস-পরীক্ষা চালু করা।

আলোচনায় অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদ, কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদ, কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ ও মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও শিক্ষার্থী প্রতিনিধিবৃন্দ।

এ ছাড়া এ সময় উপস্থিত ছিলেন: বাকৃবির ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো শহীদুল হক, সহকারী ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ ও রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ড. মো হেলাল উদ্দীন।

আরও পড়ুন: বাকৃবিতে হয়নি সিন্ডিকেট সভা, ক্যাম্পাস খোলা নিয়ে অনিশ্চয়তা

এ সময় শিক্ষার্থী প্রতিনিধিরা বৈঠকে দাবি জানিয়ে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের কারণে আমাদের পড়াশোনা সম্পূর্ণভাবে স্থবির হয়ে আছে। আমরা চাই, দ্রুত ক্যাম্পাস খোলা হোক এবং আমরা যেন আমাদের ক্লাস-পরীক্ষায় নিয়মিত হতে পারি।’

তারা আরও জানান, আন্দোলনের সময় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের হামলার খবরে আমরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ি। তাদের নিরাপত্তা কথা চিন্তা করে প্রতি হল বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষার্থীরাও আন্দোলনে যোগ দেন।

এ সময় বাকৃবি উপাচার্য বলেন, ‘একাডেমিক কাউন্সিল করে যে কোনো বিষয় পাস-ফেল করার দায়িত্ব হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের। কম্বাইন্ড ডিগ্রির বিষয়টি সার্বিক চিন্তা করে ২৫১ জন শিক্ষকের সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়েছে। শিক্ষার্থীরা তাদের চাহিদা বলেছে, সেটা তারা বলতেই পারে। কিন্তু একাডেমিক কাউন্সিল কীভাবে আইনকে অনুসরণ করে, ন্যায্যতা অনুসরণ করে কাজ করবে, সেটি শিক্ষকরাই ভালো বুঝবে। এটা শিক্ষকদেরই কাজ।’

আরও পড়ুন: বাকৃবিতে প্রশাসন-শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয়বার বৈঠকেও আসেনি সিদ্ধান্ত

তিনি বলেন, ‘৬৪ বছরের পুরোনো একটি ডিগ্রি বাতিল করে আমরা সেই ৬৪ বছর আগেই ফিরে যাচ্ছি কিনা সেটা দুই থেকে চার বছর পরেই বোঝা যাবে।’

এ সময় উপাচার্য আরও বলেন, ‘আমরা চাইনি আমাদের ছেলে মেয়েরা বাসায় যাবেন, ১৫ দিন পর আসবেন। তাদের খরচ, কষ্ট, মা-বাবার বিরক্তি, অনেকের বিসিএস, এজন্য আমরা বিষয়টি এখনো পর্যালোচনা করছি। আমি যতক্ষণ পারবো ততক্ষণই সহ্য করব। আমরা ছাত্র-ছাত্রীবান্ধব, বিরোধী না। এজন্য আমরা শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়েছি।’

বাকৃবি উপাচার্য বলেন, ‘এখানে আর কোনো আন্দোলনের যুক্তি নেই, কোনো সুযোগ নেই। আমরা আজকে তাদের শেষ মতামত শুনবো। ওরা যদি বুঝে তাহলে ভালো আর না বুঝলে আমার মনে হয় তারা আমাদের প্রতি অন্যায় করবে।’

]]>