বাকৃবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ পশুপালনে, কম্বাইন্ড ডিগ্রি চায় ভেটেরিনারিও

২ দিন আগে
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) কম্বাইন্ড ডিগ্রির (বিএসসি ভেট সায়েন্স অ্যান্ড অ্যানিম্যাল হাজবেন্ড্রি) দাবিতে টানা তৃতীয় দিনের মতো ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করেছেন পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি তারা অনুষদের ডিন অফিস ও প্রধান দুটি গেইটে তালা ঝুলিয়ে দেন। ফলে অনুষদের প্রশাসনিক কার্যক্রম পুরোপুরি স্থবির হয়ে পড়ে। এদিকে কম্বাইন্ড ডিগ্রির দাবিতে আলাদা মিছিল করেছে ভেটেরিনারি অনুষদও।

বুধবার (৩০ জুলাই) বেলা ১২ টার দিকে ভেটেরিনারি অনুষদের সামনে থেকে মিছিল বের করেন ওই অনুষদের শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পশুপালন অনুষদের করিডোর হয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ‌সে শেষ হয়।


এ সময় শিক্ষার্থীরা 'আমার সোনার বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই', 'দাবি একটাই, কম্বাইন্ড ডিগ্রি চাই', 'এক পেশা, এক ডিগ্রি, এক দাবি' এবং 'কম্বাইন্ড, কম্বাইন্ড' স্লোগান দেন।


পাশাপাশি কম্বাইন্ড ডিগ্রির দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো অনুষদের সামনে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থীরা।

আরও পড়ুন: ডাকসু নির্বাচন: খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ

ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, অবিলম্বে বিএসসি ভেটেরিনারি সায়েন্স এবং অ্যানিমেল হাজব্যান্ড্রি ডিগ্রি বাতিল করে সমন্বিত ডিভিএম ডিগ্রি বহাল রাখতে হবে, ভেটেরিনারি শিক্ষার মানোন্নয়ন ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সুরক্ষায় শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের ইন্টার্নশিপ ও চাকরির সুযোগ নিশ্চিত করতে কার্যকর সরকারি পদক্ষেপ নিতে হবে।


ভেটেরিনারি ছাত্র সমিতির সহ সভাপতি মো. মোরসালীন বলেন, দেশের প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়ন, জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখার স্বার্থে কম্বাইন্ড ডিগ্রি অপরিহার্য। বিএসসি ভেটেরিনারি সায়েন্স এবং পশুপালন নামে আলাদা ডিগ্রি প্রদান শিক্ষাব্যবস্থায় বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে, যা প্রাণিসম্পদ চিকিৎসা ও গবেষণার মানকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।


তিনি আরও বলেন, দেশের কোটি কোটি মানুষের স্বাস্থ্য ও কৃষক সমাজের জীবিকা এ সিদ্ধান্তের কারণে ঝুঁকির মুখে পড়বে। আমাদের দাবি অগ্রাহ্য করা হলে আমরা নীরব থাকব না। দেশের প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়ন এবং আন্তর্জাতিক মানের ভেটেরিনারি শিক্ষা নিশ্চিত করতে আমরা শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাব।


ভেটেরিনারি অনুষদের স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী রাকিব হাসান বলেন, ‘আমরা ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থীরা সবসময়ই চেয়েছি প্রাণিসম্পদের উন্নয়ন। এই উন্নয়নের স্বার্থে যে কোন ভালো সিদ্ধান্তকে আমরা সমর্থন করি এবং প্রাণিসম্পদের জন্য হুমকিস্বরূপ যে কোনো সিদ্ধান্তকে আমরা প্রতিহত করি। আমরা মনে করি বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ সেক্টরকে এগিয়ে নিতে কম্বাইন্ড ডিগ্রির বিকল্প নেই। এজন্য আমরা বিগত সময়েও আন্দোলন করেছি, এখনও করছি।’

আরও পড়ুন: জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের কার্যক্রমকে ঢাবি শিক্ষার্থীদের লাল কার্ড

পশু পালন অনুষ‌দের শিক্ষার্থীরা জানান, ভেটেরিনারি ও পশুপালন একে অপরের পরিপূরক। দক্ষ জনবল তৈরিতে কম্বাইন্ড ডি‌গ্রির বিকল্প নেই। আমা‌দের দা‌বি না মানা পর্যন্ত ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ থাক‌বে। এই অনুষ‌দের তালাও খুলে দেওয়া হ‌বে না।


এদিকে বাকৃবির পশুপালন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রুহুল আমিন বলেন, এতো পুরোনো একটি অনুষদ কম্বাইন্ড হয়ে যাবে এ নিয়ে হওয়া আন্দোলন আমরা শিক্ষকরা যৌক্তিক মনে করি না। উপাচার্য স্যার বিদেশে গিয়েছেন, তিনি ফিরে আসলেই বাকিটা বুঝা যাবে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন