বাই-সাইকেলের পর পেনাল্টি, পাঁচ মিনিটে বাংলাদেশকে লিডে ফেরালেন হামজা

৪ দিন আগে
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই জাতীয় স্টেডিয়ামকে বাধভাঙা উল্লাসে মাতালেন হামজা দেওয়ান চৌধুরী। আর চার মিনিট পরই সে আনন্দ করলেন দ্বিগুণ। মাত্র পাঁচ মিনিটের মধ্যে পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশকে লিডে ফেরালেন এ তারকা।

জাতীয় স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) ফিফা প্রীতি ম্যাচে নেপালের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৫৪ মিনিট শেষে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। লাল সবুজদের পক্ষে দুটি গোলই করেছেন হামজা।

 

হতাশা নিয়ে প্রথমার্ধ শেষ করেছিল বাংলাদেশ। পিছিয়ে ছিল ১-০ ব্যবধানে। সতীর্থদের দিয়ে গোল করাতে না পারার আক্ষেপ নিয়ে বিরতিতে গিয়েছিলেন হামজা। দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেই সে আক্ষেপ মিটিয়েছেন তিনি। এ অর্ধের প্রথম মিনিটেই তার দুর্দান্ত ওভারহেড কিকে করা গোলে সমতায় ফেরে বাংলাদেশ। ডান পাশ থেকে ফাহিমের ক্রস নেপালের এক খেলোয়াড় হেডে বিপদমুক্ত করতে চেয়েছিলেন, সেই বল বক্সের বাইরে পেয়ে যান জামাল ভূঁইয়া। তার বাড়ানো বলটি পেয়ে উল্টো হয়ে বাই-সাইকেল চালানোর ভঙ্গিতে কিক করে জালে পাঠান হামজা।

 

আরও পড়ুন: হামজার বিপক্ষে খেলতে রোমাঞ্চিত নেপালও

 

সমতায় ফেরার তিন মিনিট পরই জাতীয় স্টেডিয়ামের বাধভাঙা উল্লাস দ্বিগুণ করে দেন হামজা। ৪৮তম মিনিটে রাকিব হোসেন নেপাল বক্সে ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পায় বাংলাদেশ। নেপালের গোলরক্ষককে পরাস্ত করে সফল স্পট কিকে লাল সবুজ জার্সিতে চতুর্থ গোলটি তুলে নেন হামজা।

 

হতাশার প্রথমার্ধের পর দলের শক্তি বাড়াতে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই বদলি হিসেবে সমিত সোমকে মাঠে নামিয়েছেন কোচ হাভিয়ের কাবরেরা।

 

এর আগে প্রথমার্ধে বক্সে কয়েকটি সুযোগ পেয়েছিলেন ফয়সাল আহমেদ ফাহিম। তবে তিনি কাজে লাগাতে পারেননি। ‍উল্টো ২৯তম মিনিটে সুযোগ পেয়ে এগিয়ে গিয়েছিল নেপাল। বাংলাদেশের রক্ষণে আচমকা ঢুকে কাট ব্যাক থেকে বল পেয়ে নিচু শটে বল জালে জড়িয়েছিলেন রোহিত চাঁদ।

 

আরও পড়ুন: নেপালের বিপক্ষে খেলতে নামলেও বাংলাদেশের ভাবনায় ভারত ম্যাচ

 

গত পাঁচ বছরে নেপালের বিপক্ষে ৬ বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে সর্বশেষ ৫ ম্যাচেই জয়হীন বাংলাদেশ। নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বশেষ জয় পেয়েছিল ২০২০ সালে। সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচের তিনটি ড্র হয়েছে, দুটিতে জিতেছে নেপাল। হামজার কল্যাণে এবার সে ডেডলক ভাঙার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন