বাংলাদেশে বিনিয়োগের অসংখ্য সুযোগ রয়েছে: দ. কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত

৪ সপ্তাহ আগে
বাংলাদেশে বিনিয়োগের অসংখ্য সুযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক। বিশেষ করে চামড়া শিল্প, আইসিটি ও ওষুধ খাতে বড় সম্ভাবনা দেখছে দেশটি।

রোববার (১৯ অক্টোবর) রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে 'কোরিয়ান বিনিয়োগকারীদের সিএসআর কার্যক্রম এবং একসঙ্গে ভবিষ্যৎ'- শীর্ষক এক সেমিনারে এ কথা জানান তিনি।


এ সময় দ্বিপক্ষীয় ব্যাণিজ্য উন্নয়নে দ্রুত ভিসা, কাস্টমস সহজীকরণ ও ট্যারিফ কমানোর পরামর্শ দেন কোরিয়ান রাষ্ট্রদূত।


সেমিনারে স্বাগত বক্তব্যে তিনি  বলেন, বাংলাদেশে কোরিয়ান কোম্পানিগুলোর সিএসআর কার্যক্রম টেকসই উন্নয়ন, সামাজিক কল্যাণ ও দায়িত্বশীল বিনিয়োগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। 


চট্টগ্রামের কোরিয়ান ইপিজেডে ৭০ হাজারেরও বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নে অংশীদার হতে আগ্রহ প্রকাশ করেন কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত।


তিনি বলেন, উভয় দেশ কীভাবে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগকে আরও এগিয়ে নিতে পারে, সে বিষয়ে আমি বলতে চাই দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি, কৌশলগত অবস্থান এবং প্রচুর শ্রমশক্তির কারণে বাংলাদেশ দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি আশাব্যঞ্জক গন্তব্যস্থল হিসেবে অব্যাহত রয়েছে। বিনিয়োগের গন্তব্য হিসেবে বাংলাদেশের সম্ভাবনাকে পুরোপুরি বাস্তবায়নের জন্য সময়মত ভিসা প্রদান এবং নবায়ন, নিরবচ্ছিন্ন শুল্ক ছাড়, কাঁচামাল এবং মধ্যবর্তী পণ্যের ওপর উচ্চ শুল্ক হ্রাস, প্রকল্প সমাপ্তির পরে ডলারে অতিরিক্ত অর্থ প্রদানের সমস্যা সমাধান এবং নিজ দেশে মুনাফা পাঠানোর  সুযোগ করে দেওয়ার জন্য বাংলাদেশকে ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নত করতে হবে।


আরও পড়ুন: দক্ষিণ কোরিয়ায় উচ্চশিক্ষার নতুন দিগন্ত


কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, কোরিয়ায় বাংলাদেশের রফতানি প্রতি বছর ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে সীমিত পরিসরে রফতানির কারণে এর পরিমাণ সন্তোষজনক নয়। পাদুকা, আইসিটি পণ্য, চামড়াজাত পণ্য, হালকা শিল্প পণ্য এবং ওষুধের মতো পণ্য কোরিয়ায় আরও রপ্তানি করা যেতে পারে। একটি দ্বিপক্ষীয় সেপা  কোরিয়ার বাজারে বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব আরও বৃদ্ধি করতে প্রেরণা জোগাতে পারে, বিশেষ করে তৈরি পোশাক পণ্যের ক্ষেত্রে।


তিনি বলেন, কোরিয়ায় বাংলাদেশের রফতানি প্রতি বছর ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে সীমিত পরিসরে রফতানির কারণে এর পরিমাণ সন্তোষজনক নয়। পাদুকা, আইসিটি পণ্য, চামড়াজাত পণ্য, হালকা শিল্প পণ্য এবং ওষুধের মতো পণ্য কোরিয়ায় আরও রফতানি করা যেতে পারে। একটি দ্বিপক্ষীয় সেপা কোরিয়ার বাজারে বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব আরও বৃদ্ধি করতে প্রেরণা জোগাতে পারে, বিশেষ করে তৈরি পোশাক পণ্যের ক্ষেত্রে।


রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি, সামাজিক কল্যাণ এবং দায়িত্বশীল বিনিয়োগের মূল চালিকাশক্তি হিসেবে সিএসআরের ক্রমবর্ধমান গুরুত্বের ওপর জোর দেন। তিনি বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যে অবদান রাখার জন্য সহযোগিতামূলক সিএসআর প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার জন্য কোরিয়ার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।


এদিনের সেমিনারে অংশ নেন বেশ কয়েকটি কোরিয়ান কোম্পানির প্রতিনিধি, দেশি-বিদেশি এনজিও, ব্যবসায়ী সংগঠন ও উন্নয়ন বিশেষজ্ঞরা। এসময় বাংলাদেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে চলমান কার্যক্রম তুলে ধরেন তারা।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন