বাংলাদেশিকে হত্যার পর মরদেহ ভারতে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ

১ সপ্তাহে আগে
নওগাঁর পোরশা উপজেলায় মো. ইব্রাহিম (৪৫) নামের এক বাংলাদেশি রাখালকে গুলি করে হত্যা করে মরদেহ নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) ভোরে নিতপুর সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল ছিল ২২৮ নম্বর সীমান্ত পিলার থেকে প্রায় ৫০০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে।

 

নিহত ইব্রাহিম সাপাহার উপজেলার রোদগ্রামের বাসিন্দা। তার বাবার নাম সৈয়দ আলী।

 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার গভীর রাতে ইব্রাহিম সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের ভেতরে প্রবেশ করেন। বৃহস্পতিবার ভোরে একজোড়া মহিষ নিয়ে ফেরার সময় ভারতের আগ্রাবাদ বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর বিএসএফ সদস্যরা মরদেহটি উদ্ধার করে নিজেদের হেফাজতে নেয়।

 

আরও পড়ুন: এক কলেজে দুই অধ্যক্ষ, সঙ্গে আনা চেয়ারে বসলেন একজন!

 

এ বিষয়ে ১৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফুল ইসলাম মাসুম বলেন, ‘ঘটনার খবর পেয়ে আমরা বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করছি। ঘটনার সত্যতা যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ 

 

তিনি আরও বলেন, ‘ভারতের আগ্রাবাদ বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা গুলি চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে।’

 

মানবাধিকার সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরেই সীমান্তে ‘নির্বিচারে গুলিবর্ষণ’ বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়ে আসছে। ইব্রাহিম হত্যার ঘটনায় সেই দাবি আরও জোরালো হয়েছে।

 

বিজিবি জানায়, ঘটনার পরপরই পতাকা বৈঠকের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে বৈঠক কবে অনুষ্ঠিত হবে, তা এখনও নির্ধারিত হয়নি।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন