বাংলাদেশি পর্যটকের আনাগোনা বাড়লেও খুশি নন কলকাতার ব্যবসায়ীরা!

৩ সপ্তাহ আগে
ভারতে বাংলাদেশি ভ্রমণকারীর সংখ্যা কিছুটা হলেও বেড়েছে। তবে এই বৃদ্ধি স্বাভাবিক প্রবাহের তুলনায় প্রায় ৮০ শতাংশ কম। কলকাতার নিউমার্কেট এলাকার ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাংলাদেশি ভ্রমণকারীদের সংখ্যা কিছুটা বাড়লেও তাদের অনুপস্থিতিতে যে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে, তা পূরণ করা সম্ভব নয়।

মাত্র কয়েকমাস আগেও কলকাতার মারকুইজ স্ট্রিট ছিল নিস্তব্ধ। বাংলাদেশি পর্যটকের দেখা মিলত না। তবে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পরিস্থিতি কিছুটা বদলেছে। ধীরে ধীরে বাংলাদেশি পর্যটকের আনাগোনা বাড়ছে।

 

কলকাতায় যাওয়া বাংলাদেশিরা জানান, মেডিকেল ভিসা তুলনামূলকভাবে সহজে মিলছে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিলে দ্রুত ভিসা দেয়া হচ্ছে। আগের মতো রোগীর সঙ্গে একজন অ্যাটেনডেন্ট ভিসা পেতেন, এখন দুজনকেও দেয়া হচ্ছে।

 

আরও পড়ুন: বাংলাদেশি পর্যটকের অভাবে লাটে উঠেছে কলকাতার নিউমার্কেটের ব্যবসা!

 

তবে ভিসা প্রক্রিয়া আরও সহজ করার দাবি অনেকের। বাংলাদেশি পর্যটকরা বলছেন, আগে যেভাবে কঠোর যাচাই-বাছাই হতো, এখনো কিছুটা যাচাই-বাছাই হচ্ছে। তবে যারা সত্যিই চিকিৎসা নিতে আসতে চাচ্ছেন, তাদের ভিসা দেয়া হচ্ছে, বিশেষ করে বয়স বেশি থাকলে।

 

২০২৩ সালে ভারতের ইতিহাসে রেকর্ডসংখ্যক বাংলাদেশি পর্যটক ভ্রমণ করেন। পদ্মা সেতুর সুফলে কলকাতার ব্যবসায়ীরা নতুন বিনিয়োগও করেছিলেন। কিন্তু ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর পরিস্থিতি বদলায়। ১৩ আগস্ট থেকে ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন সাধারণ পর্যটন ভিসা দেয়া বন্ধ রাখে। ভিসা না পাওয়ায় বাংলাদেশিদের যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায় এবং কোটি কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়েন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা।

 

ভারতীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, করোনার সময়ও এত খারাপ পরিস্থিতি হয়নি। সেই সময়ে আসা রোগীরা সেবা পেত, আর ব্যবসায়ীরা কাজ চালিয়ে যেতে পারতেন। কিন্তু এবার ক্রাইসিস অনেক গভীর। তবে আগামী কয়েক সপ্তাহে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে পারে।

 

এখন পর্যন্ত কলকাতার নিউমার্কেট এলাকার বাংলাদেশি হোটেলপাড়া ও পর্যটকনির্ভর ব্যবসায়ীরা টিকে থাকার লড়াই চালাচ্ছেন। তবে সংকট কাটিয়ে পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হবে এমন আশা তাদের।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন