শনিবার (০৪ মে) মধ্যরাতে ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা বিভাগীয় উপ পরিচালক সালেহউদ্দিন আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। রাত ১২টা ২৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এর আগে রাত সাড়ে ৮টার দিকে আগুন লাগার খবর পাই আমরা।
তবে এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে, তারাই খুঁজে বের করবেন আগুন লাগার কারণ। এখন পুরোপুরি নির্বাপনের কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।
এছাড়া তাৎক্ষণিকভাবে অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানানো যায়নি। যদিও আগুন লাগার কারণ জানানো হয়নি।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে ঝুট গুদামের আগুন নিয়ন্ত্রণে
ফায়ার সার্ভিস জানায়, বহুতল ভবন সাব্বির টাওয়ারে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট কাজ করেছে। এর আগে রাতে ফায়ার সার্ভিস সদর দফতরের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলাম দোলন আগুন লাগার তথ্য নিশ্চিত করেন।
ফায়ার সার্ভিস আরও জানিয়েছে, আগুন নিয়ন্ত্রণে সাতটি ইউনিট কাজ করেছে তবে এ বহুতল ভবনে ছিল না পর্যাপ্ত অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
প্রত্যক্ষদর্শী এবং ভবনটির ব্যবসায়ীরা জানান, ১১তলা ভবনের বেশিরভাগই ইলেকট্রনিক ডিভাইসের দোকান। ভবনটির ছাদে ঝাড়বাতি বা বাল্ব তৈরির কারখানা ছিল।
বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকেই আগুন লেগেছে জানিয়ে তারা জানান, সন্ধ্যা ৬টায় একবার শর্টসার্কিটের ঘটনা ঘটে। যেটি তাৎক্ষণিকভাবে মিস্ত্রি এনে ঠিক করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে ৮টা ২০ থেকে ২৫ এর দিকে আবারও শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূচনা হয়। ভবনটির ছাদে ঝাড়বাতি বা বাল্ব তৈরির কারখানা ছিল। সেখানেই আগুনের ঘটনা ঘটে। ছাদে কারখানার টিন থাকায় আগুন নেভাতে ভোগান্তি পোহাতে হয়। পাশের মসজিদ থেকে পানি নেয়া হয়।
এদিকে ফায়ার সার্ভিস বলছে, ৭ ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।