বলের হিসাবে তৃতীয় সর্বোচ্চ বড় জয় পেল বাংলাদেশ

৪ সপ্তাহ আগে
বাংলাদেশ যে জিতবে, সেটা একপ্রকার প্রথম ইনিংসেই নিশ্চিত হয়ে যায়। তাসকিন আহমেদের তোপে ১৩৬ রানে থামে নেদারল্যান্ডসের ইনিংস। এরপর জিজ্ঞাসা একটাই থাকতে পারে, ২০০–২২০ রানের অভ্যাস করার কথা বলে সিরিজ খেলতে নামা লিটন দাসের দল কত ওভারে এই রান তাড়া করবে!

লক্ষ্যে পৌঁছতে ১৩.৩ ওভার লেগেছে টাইগারদের, বল হাতে ছিল ৩৯টি। টি-টোয়েন্টিতে বল বাকি থাকার হিসাবে এটা বাংলাদেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ বড় জয়। সর্বোচ্চ বড় জয়টি গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে। বিশ্বকাপ খেলতে নামার আগে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা ৫০ বল হাতে রেখে মার্কিনিদের হারিয়েছিল। ৪৮ বল হাতে রেখে জয় আছে আফগানিস্তানের বিপক্ষে।


সিলেটে ডাচদের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিটি বাংলাদেশ ৮ উইকেটে জিতেছে। শেষ বলে দুই সাইফ হাসানের দুই ছক্কায় ১৩৮ রান করে তারা। সাইফ অপরাজিত ছিলেন ১৯ বলে ৩৬ রান করে। আর এই ইনিংসের সর্বোচ্চ সংগ্রাহক লিটন দাস ২৯ বলে অপরাজিত থাকেন ৫৪ রানে। ম্যাচসেরা হয়েছেন ২৮ রানে ৪ উইকেট নেওয়া তাসকিন।


আরও পড়ুন: বদলে গেল এশিয়া কাপের ম্যাচ শুরুর সময়


রান তাড়ায় বাংলাদেশের শুরুটা ভালো হয়েছিল। ২ ওভারেই ২৫ রান তুলে ফেলে পারভেজ হোসেন ইমন ও তানজিদ তামিমের উদ্বোধনী জুটি। প্রথম ওভারেই ২ চার ও এক ছয়ে ঝড় তোলা ইমন ৯ বলে ১৫ রান করে আরিয়ান দত্তের শিকার হন।


ওয়ানডাউনে নেমে লিটন রানের চাকা সচল রেখে পরে হাত খুলে খেলতে শুরু করেন। ২৬ বলে লিটন হাফসেঞ্চুরি করার আগে তানজিদ আউট হন ২৪ বলে ২৯ রান করে। এই হাফসেঞ্চুরি দিয়ে যৌথভাবে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ হাফসেঞ্চুরিয়ান বনে গেছেন লিটন। সাকিব আল হাসানের মতো তার নামের পাশেও এখন ১৩টি ফিফটি।


আরও পড়ুন: এশিয়া কাপ: বাংলাদেশের ম্যাচ দেখতে খরচ করতে হবে মোটা অঙ্কের অর্থ!


তানজিদ আউট হওয়ার পর নামা সাইফ প্রথম ১৬ বলে মাত্র একটি চার ও একটি ছয় হাঁকান। ১৪তম ওভারের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে ছক্কা মেরে শেষটা রাঙান তিনি। লিটনের ২৯ বলের ইনিংসে ছিল ৬টি চার ও ২টি ছয়ের মার।


৮ উইকেটে নেদারল্যান্ডস ১৩৬ রান করে তেজা নিদামানুরু (২৬), ম্যাক্স ও’দাউদ (২৩), টিম প্রিঙ্গল (১৬), আরিয়ান দত্ত (১৩), শারিজ আহমেদ (১২) ও নোয়াহ ক্রোসের (১১) ব্যাটে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন