স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য বলছে, এ বছর চলতি মাস পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ২ হাজার ৫০০ জন। আর মৃত্যুর সংখ্যাটাও ২০ ছুঁই ছুঁই। যদিও এতে যুক্ত নেই বেশিরভাগ বেসরকারি হাসপাতালের তথ্য।
রাতের আঁধার তো আছেই, দিনেও সমানভাবে অত্যাচার চালায় মশা। ড্রেন আর খাল দখলমুক্ত করে পরিষ্কার না করাকেই দুষছেন নগরবাসী। সঙ্গে রয়েছে নির্মাণাধীন ভবন, আর দুই বাড়ির মাঝে জমে থাকা পানিও।
বরাবরের মতো চলতি অর্থবছরও মশা নিয়ন্ত্রণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বাজেট প্রায় ৪৪ কোটি টাকা আর উত্তর সিটি করপোরেশনের বরাদ্দ ১১০ কোটি টাকা। নিয়ম করে মশক নিধনে শুধু ওষুধ ছিঁটানো নয়, হয় ফগিংও। নগরবাসীর অভিযোগ, কাজে আসে না এসবের কিছুই।
দক্ষিণ সিটির প্রধান সাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নিশাত পারভীন বলেন, ‘জনগণ যদি সচেতন হোন তাহলে ডেঙ্গু নির্মূল সম্ভব। একই এলাকায় একযোগে চিরুনি অভিযান চালানো হবে, যেখানে সব র্কাকক্রম সমন্বিতভাবে হবে।’
আরও পড়ুন: ডিএনসিসিতে মশক নিধন কার্যক্রমে যুক্ত হচ্ছে সেনাবাহিনী: প্রশাসক
উত্তর সিটির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘মশক নিধনের ওষুধ ছিটানোর মতো কাজ এখন থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী করবে। মশার ট্র্যাপ স্থাপন করা হবে প্রায় এক হাজার। প্রতিটি হাসপাতালে একটি আলাদা ডেডিকেটেড ডেঙ্গু ইউনিট স্থাপনে আমার কাজ করবো। প্রাইভেট হাসপাতালেও এটি করা হবে।’
কীটত্বত্তবিদ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. বদরুল আলম বলেন, বর্ষার আগে এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করতে না পারলে বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে হবে। ফগিংয়ের মত কার্যক্রম কেবলই লোক দেখানো। তাই মশক নিধনে গবেষণা নির্ভর দীর্ঘ মেয়াদী সমাধানের দিকে যাওয়ার বিকল্প নেই।
]]>