মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সকাল ৯ টায় প্রশাসনিক ভবনের সম্মুখে জাতীয় পতাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. এনামউল্যা এবং প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. শফিকুল ইসলাম সিকদার।
এর পরে ফেস্টুন ও বেলুন উড্ডয়ন এবং আকাশে শান্তির প্রতীক পায়রা অবমুক্ত করা হয়। এরপর শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অংশগ্রহণে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও এর সামনের মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে এসে শেষ হয়। অতঃপর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে মহান শহিদগণের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করা হয়।
পরবর্তীতে টিএসসি’র সম্মুখে মজার ইস্কুলের শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন এবং কেক কাটা হয়।
আরও পড়ুন: গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবিতে ঢাবি শিক্ষকদের মানববন্ধন
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্যায়ে ভাইস-চ্যান্সেলর, প্রো ভাইস-চ্যান্সেলর ও ট্রেজারার মহোদয় শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে নিয়ে দিনাজপুর গোর-এ-শহিদ বড় ময়দানের পাশে অবস্থিত হাজী মোহাম্মদ দানেশ এর কবর জিয়ারত ও তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন।
শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম-১ এ ২৪ তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষ্যে ‘মেধাভিত্তিক ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণে হাবিপ্রবির ভ‚মিকা ও ক্রমবিকাশ’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. এনামউল্যা বলেন, ‘এতদিন বিশ্ববিদ্যালয় দিবস ও এর প্রতিষ্ঠার ইতিহাসকে বিকৃত করা হয়েছিল, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন পাশ হয়নি, প্রজ্ঞাপন হয়নি, অথচ একটি তারিখে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালন করা হতো। আইনে স্পষ্ট উল্লেখ আছে যেদিন থেকে প্রজ্ঞাপণ জারী হবে, সেদিন থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু। সে অনুযায়ী আমরা এবার বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালন করছি।’
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুলের গাড়িবহরে হামলা: হাবিপ্রবির ৫ জন গ্রেফতার
এছাড়াও ২৪ তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষ্যে বাদ জোহর কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এবং ০৭ এপ্রিল সন্ধ্যা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থাপনায় আলোকসজ্জা করা হয়।