বৃহস্পতিবার (১ মে) পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার ঝলঝলী গ্রামের গ্রাম-ঠাকুর প্রাঙ্গণে ভিন্ন এই বিয়ের আয়োজন করা হয় বট ও পাখরী গাছকে ঘিরে। আর এই বিয়েতে বট গাছের নাম দেয়া হয়েছে অক্ষয় কুমার ও পাখরী গাছের নাম দেয়া হয়েছে তিথী রানী।
বট গাছের বাবা ও মা হিসেবে ছিলেন ঝলঝলী (ডারীমুনী) গ্রামের শ্রীমান রমেশ চন্দ্র বর্ম্মন রাতিয়া এবং শ্রীমতি পারুল রানী দম্পতি। আর পাখরী গাছের বাবা- মা হিসেবে ছিলেন ঝলঝলী (উলারচাপ) গ্রামের শ্রীমান বাসুদেব বর্ম্মন এবং শ্রীমতি সান্তনা রানী দম্পতি।
জানা গেছে, প্রায় ১০ বছর ধরে একসাথে বড় হয়ে ওঠে এই বট ও পাখরী গাছ। বিয়ের দিন এলাকাবাসীর অংশ গ্রহণের মধ্য দিয়ে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে বিয়ে দেয়া হয়েছে এই দুই গাছের। অন্যান্য বিয়ের মত ছিল ঠাকুরপূজা, মঞ্চ খাওয়ার অনুষ্ঠানের সব আয়োজন ছিল এখানে।
এমন ব্যাতিক্রমী বিয়েতে এমন আয়োজনে অংশগ্রহণ করতে পেরে খুশি অতিথিরা।
আরও পড়ুন: ফোনে পরিচয়-প্রেম, বিয়ের দুদিন পরই নববধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার!
এসময় শ্রীমান রমেশ চন্দ্র বর্ম্মন রাতিয়া ও শ্রীমান বাসুদেব বর্ম্মন সময় সংবাদকে বলেন, আমরা এই দুই গাছের অভিভাবক হয়ে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা করেছি। এর মাধ্যমে এক আত্মীয়ের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লাম। আশা করি এই বিয়ের আয়োজনের মধ্য দিয়ে সকলের মঙ্গল হবে।
একই সাথে পরিবারের অন্য সদস্যরা জানান, মানুষের বিয়ের মতই এই বিয়েকে ঘিরে অনেক আনন্দ করেছি আমরা। সব আয়োজন ছিল বিয়েকে ঘিরে।
ঝলঝলী উলারচাপ গ্রাম ঠাকুর পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বাবু শ্রী রমেশ চন্দ্র বর্মন সময় সংবাদকে বলেন, দীর্ঘদিনে একটা ইচ্ছা ছিল সব গ্রামবাসীকে নিয়ে এই গাছ দুটির বিয়ের আয়োজন করবো। ধর্মশাস্ত্র অনুযায়ী এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে পূর্ণতা অর্জনেই গ্রামের সবাইকে এই বিয়ের আয়োজন। এই বিবাহে একটি প্রতীকী চিহ্ন ব্যবহার করতে হয় বট ও পাখরী গাছের জন্য। সে হিসেবে আমরা অক্ষয় তিথীতে বটের নাম দিয়েছি অক্ষয় কুমার ও পাখরী গাছের নাম দেয়া হয়েছে তিথী রানী। অক্ষয়ের এই দিনে যারা উপস্থিত হয়েছেন তারা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
আরও পড়ুন: চৈত্রের শেষ দিনে ব্যাঙের পানচিনি ‘বিয়ে’
পঞ্চগড়ের আটোয়ারীর ঝলঝলী উলারচাপ গ্রামের ঠাকুর গূজা উদযাপন কমিটির আয়োজনে বৃহস্পতিবার অক্ষয় তিথীতে ব্যতিক্রমী বট- পাখরী গাছের এই বিবাহের আয়োজন করা হয়।
]]>