বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন সিটি করপোরেশনের ১ থেকে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা।
তাদের পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করছেন অ্যাডভোকেট মো. মাহাবুবুল হক টুকু, অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ সানু এবং অ্যাডভোকেট সুজন হালদার।
এর আগে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মো. রফিকুল ইসলামের স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে উল্লিখিত ১৭ কাউন্সিলরের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয় এবং তাদের পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: মুফতি ফয়জুল করিমকে বরিশাল সিটির মেয়র ঘোষণার দাবি
মামলার আবেদনে উল্লেখ করা হয়, কোনো পূর্ব নোটিশ বা কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে কাউন্সিলরদের পদ শূন্য ঘোষণা করা সম্পূর্ণরূপে অবৈধ ও সংবিধান বিরোধী। তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি এবং স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
আদালতের কাছে তাদের প্রধান দাবি প্রজ্ঞাপনটি বাতিল ঘোষণা করা, কাউন্সিলরদের বহাল রাখা, ভবিষ্যতে এ ধরনের প্রজ্ঞাপন জারি থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেয়া। আদালতের পর্যবেক্ষণ ও পরবর্তী পদক্ষেপ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য তারিখ নির্ধারণ করেছেন।
একাধিক কাউন্সিলর বলেন, ‘জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি, দায়িত্ব পালনে কোনো গাফিলতি করিনি। আমাদের পদ বাতিল করে জনগণের রায়কে অবজ্ঞা করা হয়েছে।’
বাদীপক্ষের প্রধান আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাহাবুবুল হক টুকু বলেন, এটি একটি নজিরবিহীন ঘটনা। সংবিধান ও স্থানীয় সরকার আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হয়েছে। আদালতে আমরা ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করছি।
আরও পড়ুন: বরিশালের মেয়র নির্বাচন নিয়ে চরমোনাইয়ের প্রার্থী ফয়জুল করীমের মামলা
বরিশাল সিটি করপোরেশনের একটি অভ্যন্তরীণ সূত্র জানায়, তারা বিষয়টি আইনগতভাবে বিশ্লেষণ করছেন এবং কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
এই মামলা বরিশাল সিটি করপোরেশনে প্রশাসনিক কার্যক্রমে সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে। একইসঙ্গে এটি ভবিষ্যতে অন্যান্য সিটিতে একটি দৃষ্টান্ত হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
]]>