বরযাত্রীবাহী মাইক্রোবাসচাপায় আরও এক মাদ্রাসাছাত্রের মৃত্যু

২ সপ্তাহ আগে
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে বরযাত্রীবাহী মাইক্রোবাসচাপায় আরও এক মাদ্রাসাছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৪ জুলাই) ভোরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পথে আমিন নামে ওই ছাত্রের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে বরযাত্রীবাহী মাইক্রোবাসচাপায় তিন মাদ্রাসাছাত্রের মৃত্যু হলো।

মৃত আমিন (৯) একই এলাকার সাহেব আলীর ছেলে।


পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার রাংটিয়ার মারকাযুত ত্বাকওয়া মাদ্রাসার তিন ছাত্র সাকিবুল, জাকারিয়া ও আমিন হেঁটে বাড়ি যাচ্ছিল। তারা রাংটিয়া এলাকায় পৌঁছালে বরযাত্রী বোঝাই একটি মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাদের চাপা দেয়।


পরে স্থানীয়রা গুরুতর অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করে ঝিনাইগাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে তাদের জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসক সাকিবুল (৯) ও জাকারিয়াকে (১০) মৃত ঘোষণা করেন।


আরও পড়ুন: বরযাত্রীবাহী মাইক্রোবাস কেড়ে নিলো দুই মাদ্রাসা ছাত্রের প্রাণ


অবস্থার অবনতি হওয়ায় আমিনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে ভোরে তার মৃত্যু হয়।


নালিতাবাড়ী সার্কেলের সিনিয়র এএসপি (সার্কেল) আফসান আল-আলম জানান, সন্ধ্যার কিছু আগে রাংটিয়া এলাকায় বরযাত্রীবাহী একটি মাইক্রোবাস রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়া তিনছাত্রকে চাপা দেয়। এদের মধ্যে দুজন শেরপুর জেলা হাসপাতালে মারা গেছে এবং অপর জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রথমে ময়মনসিংহ এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে ভোরে আমিনের মৃত্যু হয়।


তিনি আরও বলেন, গাড়িটির চালক ঝিনাইগাতী উপজেলার খইলকুড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে সাইফুল ইসলামকে (৩৫) মাইক্রোবাসটিসহ আটক করা হয়েছে।


আরও পড়ুন: নেত্রকোনায় বিয়ের বাস উল্টে নিহত ১, আহত ১২


এ বিষয়ে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) সহকারী পরিচালক জি এম নাদির হোসেন জানান, মানুষের মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ আসলে দেয়া সম্ভব নয়। তবে সড়ক পরিবহন আইনে দুর্ঘটনায় হতাহতদের আর্থিক সহায়তা তহবিল থেকে সরকারিভাবে অনুদান দেয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। নিহত ব্যক্তির পরিবারকে সর্বোচ্চ ৫ লাখ টাকা এবং আহতকে চিকিৎসার জন্য সর্বোচ্চ তিন লাখ টাকা অনুদান দেয়ার বিধান রয়েছে। তবে হতাহতের ৩০ দিনের মধ্যে নির্ধারিত ফরমে আবেদন করলে, যাচাই-বাছাই শেষে আমরা এই অনুদান দিয়ে থাকি। বরযাত্রীবাহী মাইক্রোবাসের ধাক্কার নিহত শিশুদের পরিবার যদি আমাদের কাছে আবেদন করেন, তবে আমরা তাদের সরকারী অনুদান প্রাপ্তিতে সর্বাত্মক সহায়তা করবো।
 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন