রোববার (১২ অক্টোবর) সকালে বরগুনা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এ গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। সরকারি দপ্তর ও বিভিন্ন সংস্থায় সেবা নিতে গিয়ে হয়রানির শিকার সাধারণ মানুষ সরাসরি তাদের অভিযোগ তুলে ধরেন দুদক কর্মকর্তাদের কাছে।
গণশুনানিতে বরগুনার বিভিন্ন দপ্তরে সেবা নিতে গিয়ে ঘুষ, দুর্নীতি ও হয়রানির শিকার হওয়া বিভিন্ন সেবা প্রত্যাশীরা অভিযোগ উত্থাপন করেন। এতে বরগুনা পৌরসভা, বিআরটিএ, উপজেলা ভূমি অফিস, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি, পাসপোর্ট অফিস, জেলা প্রশাসন, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল, এলজিইডি, পুলিশ প্রশাসন, সড়ক বিভাগ, খাদ্য বিভাগ, সমাজ সেবাসহ মোট ১৮ টি দপ্তরের বিরুদ্ধে ৫৯টি অভিযোগে শুনানি হয়।
তবে সেবাগ্রহীতাদের দেয়া অভিযোগের মধ্যে ভূমি অফিস, পাসপোর্ট অফিস এবং বরগুনা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের সবথেকে বেশি অভিযোগ উপস্থাপন করা হয়। পরে শুনানি শেষে ৫৯ টি অভিযোগের মধ্যে ৫৬ টি অভিযোগের তাৎক্ষনিকভাবে সিদ্ধান্ত প্রদান করা হয়। বাকি তিনটি অভিযোগের মধ্যে দুটি বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং একটি অভিযোগ দুদকের মাধ্যমে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকা অচল করে দেয়ার হুমকি বেসরকারি শিক্ষকদের
গণশুনানিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী সাংবাদিকদের বলেন, সুশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশ থেকে দুর্নীতি নির্মূল করা হবে। সরকারি পরিসেবা প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ এবং সরকারি কর্মকর্তাদের মাঝে সততা, নিষ্ঠা, জবাবদিহিতা ও মূল্যবোধ বৃদ্ধি করার মাধ্যমে দেশ থেকে দুর্নীতি নির্মূল করাই এ গণশুনানির মূল অভিপ্রায়। সরকারি কর্মচারীদের মাঝে সততা, নিষ্ঠা, জবাবদিহিতা ও মূল্যবোধ বৃদ্ধি করার মাধ্যমে দেশ থেকে দুর্নীতি নির্মূল করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
গণশুনানি অনুষ্ঠানে বরগুনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আলমের সঞ্চালনা ও সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) জনাব মো. আক্তার হোসেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের বরিশাল বিভাগের পরিচালক জনাব মো. মোজাহার আলী সরদার এবং বরগুনা জেলার পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ আল মামুন শিকাদার।