এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ ইন্সপেক্টর মিজানুর রহমান।
পলাতক ওই আসামির নাম মো. আল-আমিন। তিনি বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের লেমুয়া-পাঠাকাটা গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০১৮ সালে প্রথম স্ত্রী দায়ের করা মামলায় আল-আমিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। এরপর থেকে আল-আমিন পলাতক ছিলেন। পরে শনিবার (২ আগস্ট) আল-আমিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: হাতকড়াসহ পুলিশের কাছ থেকে পালালেন সাবেক বিএনপি নেতা
এরপর রোববার (৩ আগস্ট) বরগুনার সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে হাজির করা হলে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়া হয়। এরপর আল-আমিনকে কোর্টের হাজত খানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
পরে বিকাল পৌনে ৪টার দিকে অন্য আসামিদের সঙ্গে আল-আমিনকে প্রিজনভ্যানে কারাগারে নেয়ার সময় বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রধান গেটে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের বোকা বানিয়ে পালিয়ে যান আল আমিন।
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ ইন্সপেক্টর (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ‘কারাগারে নেয়ার সময় হাত চিকন থাকায় হ্যান্ডকাফ খুলে আল-আমিন নামের এক আসামি পালিয়ে গেছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টার পাশাপাশি পুলিশ হেফাজত থেকে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনায় কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের গাফিলতি আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।