বরগুনায় ২ হাজার ছাড়ালো ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা

৩ সপ্তাহ আগে
বরগুনার ক্রমেই ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে ডেঙ্গু পরিস্থিতি। বুধবার (১৮ জুন) রাতে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ জনে। জেলার একমাত্র বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ২৩২ জন। এতে চরম চাপের মুখে পড়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

সরেজমিনে বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, ২৫০ শয্যার এই হাসপাতালটিতে তিল ধারণের জায়গা নেই। শুধু ডেঙ্গু রোগীই ভর্তি আছেন ২৩২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৬৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন এবং মারা গেছেন একজন। সবমিলিয়ে জেলায় ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২ হাজার।


হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামলাতে তারা হিমশিম খাচ্ছেন। জরুরি অবস্থা মোকাবিলায় হাসপাতালে অতিরিক্ত ১২ জন চিকিৎসক ও ১০ জন নার্স পদায়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত যোগ দিয়েছেন মাত্র ৫ জন চিকিৎসক এবং ১ জন নার্স।


বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের কনসালটেন্ট ডা. আশিকুর রহমান বলেন, বরগুনায় ডেঙ্গু আক্রান্ত অনেক রোগীই ভর্তি যোগ্য নয়। এক দিনের জ্বর হলেও অনেকেই আতঙ্কে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। অন্যান্য জেলার তুলনায় বরগুনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় আমাদের ওপর চাপ বেড়ে যাচ্ছে।


হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তাজকিয়া সিদ্দিকাহ বলেন, রোগীর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। জ্বর হলেই আতঙ্কিত হয়ে মানুষ হাসপাতালে চলে আসছেন। তবে আমরা বারবার বলছি—জ্বরের সঙ্গে যদি পাতলা পায়খানা, বমি বা মাথাব্যথা থাকে, তবেই হাসপাতালে ভর্তি হোন। সাধারণ জ্বর নিয়ে ভর্তি হলে অন্যদের জন্য ঝুঁকি বাড়ে এবং শয্যা সংকট আরও প্রকট হয়।


ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতির কারণে বরগুনাবাসীর মধ্যে চরম উদ্বেগ-আতঙ্ক বিরাজ করছে। একদিকে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, অন্যদিকে পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও নার্স না থাকায় চিকিৎসাসেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। স্বাস্থ্য বিভাগের তরফ থেকে বারবার সচেতনতা বৃদ্ধি ও প্রয়োজন ছাড়া হাসপাতালে ভিড় না করার আহ্বান জানানো হলেও আতঙ্কে সাধারণ মানুষ নির্দেশনা মানতে নারাজ।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন