সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বরগুনা সদর উপজেলার ইটবাড়িয়া গ্রামের ওই বাড়িতে গিয়ে তিনি দুই শিশুর দায়িত্ব গ্রহণের কথা জানান।
এ সময় মো. মহিব্বুল্লাহ হারুন নিহত দম্পতির পাঁচ বছর বয়সী কন্যা সাদিয়ার জন্য শিক্ষা উপকরণ এবং দেড় বছর বয়সী হাফসানার খাদ্যসামগ্রীর জন্য নগদ অর্থ প্রদান করেন। পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনাও প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: নিজ ঘরে ঝুলছিল স্বামীর মরদেহ, গলাকাটা অবস্থায় মিলল স্ত্রীর লাশ
এর আগে রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে বরগুনা সদর উপজেলার ইটবাড়িয়া গ্রামের নিজ ঘর থেকে স্বপ্ন মোল্লার ঝুলন্ত মরদেহ এবং তার স্ত্রী আকলিমা বেগমের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এতে তাদের দুই কন্যা শিশু সাদিয়া ও হাফসানা অনাথ হয়ে পড়ে।
নিহত আকলিমার ভাই শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ছোট বাচ্চাদের নিয়ে আমরা খুব দুশ্চিন্তায় ছিলাম। কে দেখবে, কীভাবে মানুষ হবে-এসব চিন্তা করছিলাম। জেলা জামায়াতের আমির সাহেব যখন লেখাপড়াসহ সব দায়িত্ব নিলেন, তখন কিছুটা স্বস্তি পেয়েছি। আমরা চাই, ওরা ভালোভাবে বড় হোক।’
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের বরগুনা জেলা শাখার আমির অধ্যাপক মাওলানা মহিব্বুল্লাহ হারুন বলেন, ‘মানবতার খাতিরে আমি এই দুই এতিম শিশুকে আশ্রয় দিয়েছি। তাদের শিক্ষা, চিকিৎসা ও ভরণপোষণের সম্পূর্ণ দায়ভার আমাদের সংগঠন গ্রহণ করেছে। আমরা চাই, সমাজের সব মানুষ এতিম ও অসহায় শিশুদের পাশে দাঁড়াক এবং মানবতার এই মহান দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসুক।’
]]>