বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বিপদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পায়রা, বলেশ্বর এবং বিষখালী নদীর পানি। এতে তলিয়ে গেছে জেলার নিম্নাঞ্চল। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তলিয়ে গেছে বড়ইতলা ফেরিঘাটের সড়ক। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজার হাজার যাত্রী। পারাপার বন্ধ রয়েছে যানবাহন।
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, জেলায় এখন পর্যন্ত বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে বিভিন্ন জায়গায় গাছের ডাল ভেঙে ও বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনে ত্রুটি দেখা দেয়ার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা রুবেল জানান, বুধবার সন্ধ্যা থেকে বরগুনায় টানা বৃষ্টি শুরু হয়। কখনও মাঝারি আকারে আবার কখনও মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে সারারাত। এতে নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন স্থানে বেড়িবাঁধের বাইরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে বেশ সমস্যায় পড়েছি আমরা।
আরও পড়ুন: বাড়ছে নদীর পানি, ফেনীসহ দেশের ৬ জেলায় বন্যার শঙ্কা
বড়ইতলা ফেরিঘাটে হাসান নামের এক যাত্রী বলেন, ‘ফেরিঘাটের সড়ক কোমর সমান পানিতে তলিয়ে গেছে। বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় এ পানির মধ্যে দিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে যাত্রীদের। এতে বেশ ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী।
বরগুনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, ‘সকাল থেকে আমরা বিভিন্ন স্থান ঘুরে ঘুরে দেখেছি। এখন পর্যন্ত কোথাও বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাইনি। তারপরও আমরা সতর্ক রয়েছি।’