মারা যাওয়া শিশুটির নাম সাফওয়ান আব্দুল্লাহ। সে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং বরগুনা নার্সিং ইনস্টিটিউটের ইন্সট্রাক্টর সাজিয়া আফরিন দম্পতির মেঝো সন্তান। তাদের বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলার গৌরীচন্না ইউনিয়নের লাকুরতলা এলাকায়।
বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. তাজকিয়া সিদ্দিকাহ জানান, ‘সাফওয়ান ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি ছিল। অবস্থার অবনতি হলে সকালে তাকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে ঢাকা রেফার করেন। ঢাকায় নেয়ার পথে সাফওয়ানের মৃত্যু হয়।’
আরও পড়ুন: চলতি বছর ভয়াবহ রূপ নিতে পারে ডেঙ্গু: বিশ্লেষক
এদিকে রোববার বরগুনায় নতুন করে আরও ৭৯ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৮৩৮ জনে। তবে বেসরকারি হিসেবে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেশি বলে জানা গেছে।
বর্তমানে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রয়েছেন ১৯২ জন, আর জেলাজুড়ে মোট চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২১৫ জন।
বরগুনার সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আবুল ফাত্তাহ বলেন, ‘চিকিৎসা দিয়ে ডেঙ্গু নির্মূল করা সম্ভব নয়। ডেঙ্গু প্রতিরোধে এডিস মশার আবাসস্থল ধ্বংস করতে হবে। এজন্য জেলার প্রতিটি এলাকায় পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালাতে হবে এবং মশক নিধন কার্যক্রম বেগবান করতে হবে।’
]]>